সমাজের কথা ডেস্ক : প্রথম খেলাতেই জয় পেয়েছে চ্যাম্পিয়নরা। গতকাল তারা ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে অস্ট্রেলিয়াকে। তবে খেলার মাত্র ৯ মিনিটে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়লে শঙ্কা দেখা দেয় আর্জেন্টিনার মতো আরেকটা অঘটন ঘটতে যাচ্ছে না তো! কিন্তু ওই পর্যন্তই, পরের গল্পটুকু র্যাবিয়ট, জিরু আর এমবাপ্পেদের। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই হট ফেভারিটের তকমা রয়েছে তাদের গায়ে। কারণ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা। দলে নেই করিম বেনজেমা, পল পগবা, এনগোলো কন্তে, এনকুকুর মত তারকা ফুটবলাররা। এ অবস্থায় মাত্র ৯ মিনিটেই যখন ক্রেগ গুডউইনের গোলে এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। তখন তো ভয় ধরারথা। ফ্রান্সের রক্ষণ শুরুতেই ভয়ই ধরালো। ফুল ফিট না হওয়ায়, রাফায়েল ভারান বেঞ্চে। চোট পেলেন লেফট ব্যাক লুকাস হার্নান্দেজ। পরিবর্তে নামানো হল থিও হার্নান্দেজকে। তবে শে পর্যন্ত ৪-১ গোলে অস্ট্রেলিয়াকে বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয় ফ্রান্স। জোড়া গোল করেছেন অলিভিয়ার জিরু। একটি করে গোল করেছেন এমবাপ্পে ও র্যাবিয়ট ।
ফ্রান্স ২৭ মিনিটে ব়্যাবিয়টের গোলে খেলায় সমতা ফেরায় । অস্ট্রেলিয়া কর্নার ডিফেন্ড করার পর থিও হার্নান্দেজ বলটি বক্সে ফেরত পাঠান। অজি কিপার রায়ানকে বোকা বানিয়ে ব়্যাবিয়ট হেড করে এগিয়ে দেন দলকে। ব়্যাবিয়টের পর জিরুর করেন দুরন্ত গোল। ব়্যাবিয়টের মাপা পাস ধরে জিরু অজি ডিফেন্স ভেদ করেবল জড়ান জালে । এর ফলে দেশের জার্সিতে গোলের হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেন তিনি। ফ্রান্স ২-১ এগিয়ে বিরতিতে যায় । বিরতির পর তারা আরও উজ্জীবিত, ও ক্ষুরধার হয়ে মাঠে নামেন।
এরপর এমবাপ্পে ৬৮ মিনিটে আঘাত হানেন । ওসমান দেম্বেলের পাস থেকে পাওয়া বলে দারুণ এক গোল করেন তিনি। এর তিন মিনিট পর ৪-১ গোলে এগিয়ে যায় ফরাসির। এমবাপ্পের সহায়তায় নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন জিরু। এটি দেশের জার্সিতে তার ৫১ নম্বর গোল। এর মাধ্যমে ফরাসি তারকা থিয়েরি অঁরির রেকর্ড ছুঁলেন তিনি। সময় হলে ৪-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।