নিজস্ব প্রতিবেদক : ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে যশোরের মনিরামপুর ও কেশবপুরসহ খুলনা বিভাগের ১৯টি উপজেলায় আজ ভোট। দেশের ১৫৩টি উপজেলার সাথে এক যোগে এ ভোট হবে। নির্বাচনের সাথে সংশিস্নষ্টরা ইতোমধ্যে তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যšত্ম বিরতিহীনভাবে ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, যশোরের মনিরামপুর ও কেশবপুর ছাড়াও মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর, কুষ্টিয়ার খোকসা, কুষ্টিয়া সদর ও কুমারখালী, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও দামুড়হুদা, ঝিনাইদহের ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ, মাগুরার মাগুরা সদর ও শ্রীপুর, নড়াইলের কালিয়া, বাগেরহাটের বাগেরহাটের সদর রামপাল ও কচুয়া, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলায় আজ ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
যশোরের কেশবপুর ও মণিরামপুর উপজেলা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৭ প্রার্থী । এই দুটি উপজেলায় ২৬০টি ভোট কেন্দ্রের ১৬০৫টি কক্ষে ভোটগ্রহণ হবে। ভোটগ্রহণে ২৬০ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও ১৬০৫ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।
রিটার্নিং অফিসার সূত্রে, দুই উপজেলায় ৫ লাখ ৮১ হাজার ৬৮৯জন ভোটার। মণিরামপুর উপজেলা নির্বাচনে ১৬৫টি ভোট কেন্দ্রের ৯৩১টি কক্ষে ভোটগ্রহণ হবে। ১৬৫ প্রিজাইডিং অফিসার ও ৯৩১ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭৩৫। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, ফারম্নক হোসেন (মোটরসাইকেল), মিকাইল হোসেন (ঘোড়া) ও আমজাদ হোসেন লাবলু (আনারস)।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, এসএম আব্দুল হক (তালা), মুনজুর আক্তার (চশমা), শরিফুল ইসলাম (টিয়া পাখি) ও সন্দীপ কুমার ঘোষ (টিউবওয়েল)। মহিলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আমেনা বেগম (হাঁস), কাজী জলি আক্তার (কলস) মাহবুবা ফেরদৌস পাপিয়া (বৈদ্যুতিক পাখা), জেসমিন (প্রজাপতি), মাজেদা খাতুন (পদ্মফুল) ও সুরাইয়া আক্তার (ফুটবল)।
এদিকে, কেশবপুর উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ৯৫টি। ভোট কক্ষ ৬৭০টি। ভোটগ্রহণে দায়িত্ব পালন করবেন ৯৫ প্রিজাইডিং অফিসার ও ৬৭০ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার। এ উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৯৫৪। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আব্দুলস্নাহ নুর আল আহসান (দোয়াত কলম), এসএম মাহবুবুর রহমান (মোটরসাইকেল), কাজী মুজাহীদুল ইসলাম (হেলিকপ্টার), নাসিমা আক্তার সাদেক (শালিখ), ইমদাদুল হক (আনারস) ও মফিজুর রহমান (ঘোড়া মার্কা)। অন্যদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুলস্নাহ আল মামুন (তালা), পলাশ কুমার মলিস্নক (উড়োজাহাজ), আব্দুল লতিফ রানা (মাইক), মনিরম্নল ইসলাম (টিউবওয়েল) ও সুমন সাহা (চশমা)। মহিলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, মনিরা খানম (কলস) ও রাবেয়া খাতুন (ফুটবল)।
উপজেলা দুটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আনিসুর রহমান বলেন, নির্বাচনের সকল ধরণে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বলয়ে ভোটরা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। দুই উপজেলার মোট ভোটার ৫ লাখ ৮১ হাজার ৬৮৯। উপজেলার ২টির ২৮টি ইউনিয়নে ২৬০টি ভোট কেন্দ্রে ১৬০১টি ভোট কক্ষে ভোট গ্রহণ হবে। এই ভোট গ্রহণে নিরাপত্তার স্বার্থে ১৭৬৮ পুলিশ ও ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবেন।
কেশবপুর প্রতিনিধি জানান, কেশবপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও সংরড়্গতি ভাইস চেয়ারম্যান(মহিলা) পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১ টি পৌর সভা ও ১১ টি ইউনিয়ন নিয়ে কেশবপুর উপজেলা পরিষদ গঠিত। এ উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা হলো ২ লাখ ২০ হাজার ৯৫৭। এর মধ্যে পুরম্নষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ৭৬৫ এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৫। ভোট কেন্দ্র ৯৫ টি। ভোট কড়্গ ৬৩৫ টি। স্থায়ী কড়্গ ৫৮০টি এবং অস্থায়ী কড়্গ ৫৫টি।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটারনিং অফিসার মো. রবিউল ইসলাম জানান, কেশবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
যশোরের পুলিশ সুপর প্রলয় কুমার জোয়াদ্দার জানান, নির্বাচনে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলেই নেওয়া হবে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা।