সমাজের কথা ডেস্ক : নৈতিকতা পুলিশকে ভেঙে দিল ইরান। হিজাব পরার বিধান লঙ্ঘনের দায়ে মাহসা আমিনীর গ্রেপ্তার ও পরে মৃত্যুর প্রতিবাদে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান বিক্ষোভের জেরে এই বাহিনীকে ভেঙে দেয়া হলো। আজ রোববার ইরানের অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ জাফর মনতাজেরির বরাত দিয়ে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম এই খবর জানায়।
হিজাব না পরার কারণে তেহরানে গত সেপ্টেম্বরের মাঝের দিকে ইরানের নৈতিকতা পুলিশ গ্রেপ্তার করে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনী নামে এক যুবতীকে। পুলিশি জিম্মায় থাকা অবস্থায় এর তিন দিন পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন কুর্দি বংশোদ্ভূত এই তরুণী। পরে কোমায় নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহসা আমিনী ।
এই তরুণীর মারা যাওয়ার পর দেশটিতে হিজাববিরোধী আন্দোলন শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে ব্যাপক আকার ধারণ করে। যা বর্তমানে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। এই আন্দোলনে এ পর্যন্ত অন্তত ২শ জন নিহত হয়েছে বলে দেশটির সরকার স্বীকার করেছে। তবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার দাবি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সহিংসতায় ৪শ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
ইসলামিক বিপ্লবের পর এবারই প্রথম সবচেয়ে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি নেতৃত্বাধীন দেশটির ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী। ব্যাপক দমনপীড়নের মাধ্যমে ইরানি কর্তৃপক্ষ সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভ মোকাবিলার চেষ্টা করলেও কার্যত ব্যরথ হয়।