৬ই মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
'প্রাথমিকে আরও ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে'

সমাজের কথা ডেস্ক : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরও ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ। আজ রবিবার দুপুরে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগামী চার মাসের মধ্যে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। সারাদেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান। ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৩০ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বর্তমানে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৩১ দাঁড়িয়েছে। আমরা আশাবাদী ২০২৪ সালের মধ্যেই এ অনুপাত ১:৩০ হবে।’

কাজের গুরুত্ব তুলে ধরে উপস্থিত সকলের উদ্দেশে সচিব বলেন, ‘ইতোপূর্বে সাতটি বিভাগে আমরা গিয়েছি, তারই ধারাবাহিকতায় এবার ময়মনসিংহে। গত বছর প্রাথমিক শিক্ষায় ময়মনসিংহ বিভাগে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অগ্রগতি অনেকটা ভালো ছিল। কিন্তু এ বছর কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। এ কর্মশালার মাধ্যমে কাজের গতিকে আরও একটু ত্বরান্বিত করতে চাই। ৩৯টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এডিবি বাস্তবায়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রথম সারিতে। প্রায় সকল ডেভলপমেন্ট পার্টনার প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে কাজ করছে। দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় যথেষ্ট অবকাঠামোর কাজ হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ১৬ মাসের মধ্যে শিক্ষার চলমান উন্নয়নকাজে ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ ছাড়া আরও ৭ হাজার কোটি টাকার চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এ বিভাগে প্রাথমিক শিক্ষার অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কাজগুলোকে সময়মতো শেষ করার জন্য একটু নজরদারি বাড়ানো উচিত। সমন্বয় ও কাজের তদারকির জায়গায় সমাধান আনতে পারলে, যথাসময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব। বর্তমানে চলমান গুণাগুণের সঙ্গে সংগতি রেখে আগামীতে শিক্ষায় আরও মানসম্মত উন্নয়নে কাজ করব।’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট সিটিজেন অন্যতম উপাদান। আর এই স্মার্ট সিটিজেন তৈরির আঁতুর ঘর প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’ তিনি শিক্ষকদের উদারচিত্তে শিক্ষাদানের আহ্বান জানিয়ে কর্মশালায় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন তিনি।

বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ, এলজিইডি প্রধান কার্যালয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়া, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আলী রেজা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জেলা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email : samajerkatha@gmail.com
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram