৯ই মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সৎমায়ের নির্যাতনে শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে সৎমায়ের নির্যাতনের শিকার হয়ে দেড় বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মৃত শিশু আয়েশা যশোর শহরের খড়কি ধোপাপাড়া এলাকার পিন্টু মিয়ার মেয়ে। শনিবার দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা পিন্টু মিয়া ও সৎমা পারভীনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।

যশোর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শুভাশিস রায় জানান, শনিবার বেলা ১টার দিকে আয়েশা খাতুনকে তার পরিবারের সদস্যরা গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার মাথা, মুখমন্ডল ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিলো। সাথে সাথেই তাকে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে আয়েশার মৃত্যু হয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আয়শার বাবা পিন্টু মিয়া পেশায় একজন রং মিস্ত্রি। কাজের জন্য প্রতিদিন সকালে বাসা থেকে বের হয়ে যান তিনি। পিতার অনুপস্থিতিতে গত চারদিন ধরে আয়েশাকে মারধরসহ শারীরিক নির্যাতন করেন তার সৎমা পারভীন সুলতানা। শনিবারও শিশু আয়েশাকে মারধর করে তার সৎমা। মারধরে অজ্ঞান হয়ে যায় শিশু আয়েশা। এরপরে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।r

এদিকে আটক আয়েশার সৎমা পারভীন জানিয়েছেন, আয়শা ও তার একটা ভাই আছে। তাদের মা দেড় বছর আগে অন্যের সাথে সম্পর্ক করে ছেলে—মেয়ে ফেলে চলে গেছে। এদিকে পারভীনের প্রথম স্বামীর সাথে সংসারকালে একটি মেয়ের জন্ম হয়। বর্তমানে মেয়েটির বয়স ৯ বছর। কিন্তু তার প্রথম স্বামী অন্য একটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক করে বিয়ে করায় পারভীনের সাথে তালাক হয়ে যায়।

পারভীন এক বছর আগে পিন্টুর সাথে দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার করে আসছিলেন। দুইটি সন্তানকে তারা খুবই ভালোবাসতেন। শনিবার অতিরিক্ত শীতে হঠাৎ মাটিতে পড়ে গিয়ে আয়েশা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

আয়েশার পিতা পিন্টু মিয়া জানিয়েছেন, তার বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। অভাবের সংসারে কাজের জন্য কয়েক বছর আগে যশোরে আসেন। আয়েশার মা পরকীয়া করে চলে যাওয়ার পরে পারভীনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। শনিবার সকালে কাজের উদ্দেশ্যে তিনি বাসা থেকে বের হন। দুপুর ১২টার দিকে খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে আয়েশাকে মৃত দেখতে পান। কিন্তু কি কারণে কি হয়েছে তিনি এখনো জানেন না।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (এসআই) পলাশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, শিশুটিকে মারধরে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার মা ও বাবাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email : samajerkatha@gmail.com
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram