নিজস্ব প্রতিবেদক : ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে যশোরের কেশবপুর ও মণিরামপুর উপজেলায় শাšিত্মপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে কেশবপুর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মফিজুর রহমান ঘোড়া প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। আর মণিরামপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
কেশবপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকে ১৮ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন মফিজুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাসিমা আক্তার সাদেক শালিক মার্কায় ১৪ হাজার ০১৬ ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ ৪ হাজার ৪৫০ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন মফিজুর রহমান। এছাড়া চেয়ারম্যান পদে আব্দুলস্নাহ নুর আল আহসান দোয়াত কলম মার্কায় ১৩ হাজার ৯২৯, এসএম মাহবুবুর রহমান মোটরসাইকেল মার্কায় ১০ হাজার ৭৬৩, কাজী মুজাহীদুল ইসলাম হেলিকপ্টার মার্কায় ১০ হাজার ৯৪৮ এবং ইমদাদুল হক আনারস মার্কায় ৬৯৫ ভোট পেয়েছেন।
এদিকে, কেশবপুরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আব্দুলস্নাহ আল মামুন তালা মার্কা নিয়ে। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩২ হাজার ৪৩৪। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পলাশ কুমার মলিস্নক উড়োজাহাজ নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৯১। অর্থাৎ পলাশ কুমার মলিস্নকের বিপড়্গে ১৮ হাজার ৯৪৩ ভোট বেশি পেয়েছেন আব্দুলস্নাহ আল মামুন। একই পদে আব্দুল লতিফ রানা মাইক মার্কায় ৬ হাজার ৪৪৩ ভোট, মনিরম্নল ইসলাম টিউবওয়েল মার্কায় ৩ হাজার ১০৭ ভোট ও সুমন সাহা চশমা মার্কায় ৬ হাজার ১৯০ ভোট পয়েছেন। মহিলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন রাবেয়া খাতুন ফুটবল মার্কায় ৩৭ হাজার ৩০৭ ভোট পেয়ে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরা খানম কলস মার্কায় ভোট পেয়েছেন ২৪ হাজার ১৫৭। ১৩ হাজার ১৫০ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন রাবেয়া খাতুন।
এদিকে, মণিরামপুর উপজেলা নির্বাচনে ১৬৫টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু আনারস প্রতীকে ৫৮ হাজার ৯০৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফারম্নক হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে ৫২ হাজার ৯২৬ ভোট পেয়েছেন। আনারস প্রতীক ৫ হাজার ৯৭৮ ভোটে বিজয়ী হয়েছে।
অন্যদিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সন্দীপ কুমার ঘোষ টিউবয়েল প্রতীকে ৪৪ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এসএম আব্দুল হক তালা প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৭৮৩ ভোট।
এছাড়া মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে কাজী জলি আক্তার কলস প্রতীকে ৪২ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমেনা বেগম হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ২২ হাজার ৪৯৭ ভোট।
দুই উপজেলায় বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরম্ন হয়ে শেষ হয়েছে বিকাল ৪টায়। ভোটে কেন্দ্রগুলোতে সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে উপস্থিতি বাড়তে থাকে। উপজেলা দুটি ভোট গ্রহণ করা হয়েছে ইভিএমের মাধ্যমে। বুধবার সকালে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকালে ভোটারদের উপস্থিতি বেশি না থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার বাড়তে থাকে। কেন্দ্রগুলোতে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্যে ছিলেন আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা।
ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্যরা বিভিন্ন কেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে ভোট কেন্দ্রের রা¯ত্মার পাশে প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তারা ভোটারদেরকে নানাভাবে সহায়তা করার পাশাপাশি নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। নির্বাচনে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।