নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর শহরে চাকুবাজ ছিচকে অপরাধীরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। একদিনে ৯জনকে ছুরিকাঘাত করে জখম করেছে তারা। এর মধ্যে ৩জন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বাকি ৬জন হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে ঘটনাগুলো ঘটে।
হাসপাতালে ভর্তি আছেন, সদর উপজেলার রামনগর মোল্লাপাড়া এলাকার আবু তালেবের ছেলে আলআমীন(১৭), শহরতলী ছোট শেখহাটি তমালতলা গ্রামের শরাফত চৌধুরির ছেলে জাহিদুল ইসলাম চৌধুরি(৪০) এবং শহরতলী ঝুমঝুমপুর বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের শেখ জহির উদ্দিনের ছেলে শেখ নাবির উদ্দিন(২০)।
এছাড়া হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন, শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোড এলাকার সাব্বির হোসেন(১৮), শহরতলী বাহাদুরপুর এলাকার বালুবিক্রেতা সাকিল হোসেন(২৩) শহরের খালধার রোড মাদ্রাসা এলাকার সফিকুর রহমান(২৭), বিরামপুর এলাকার নাজিম উদ্দিন(২০), শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার মিজানুর রহমান মনা(৩০) এবং শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া এলাকার রেজাউল ইসলাম(২৮)।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলআমীন জানান, শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমতলা পুকুর পাড় এলাকায় ওয়াজ মাহফিল শেষে করে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় একই গ্রামের মেজবাউর রহমানের সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে মেজবা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
রোববার দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার ছোট গোপালপুর এলাকার একটি রাইসমিলের সামনে একই প্রতিষ্ঠানের নেশাগ্রস্থ সহকর্মীর ছুরিকাঘতে জাহিদুল ইসলাম নামে অপর শ্রমিক আহত হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, রোববার দুপুর ১টার দিকে রাইসমিলের পাশে আরিফ ও আলমগীর নেশা করছিল। এসময় সে দেখে ফেলে। তখন নেশগ্রস্থকর্মীদের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে আরিফ ও আলমগীর তাকে ছুরিকাঘাতে আহত করে।
এছাড়াও রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এলাকায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের হাতে শেখ নাবির জখম হয়।
আহত নাবিরের পিতা জহির উদ্দিন জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে এলাকার ইয়াসিন, এখতিয়ার রহমান ডাকু নাবিরকে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করে। নাবিরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার ঈমন হোসেন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
এদিকে রোরবার সকালে সাড়ে ১০টার দিকে শহরের পৌর পার্কে দুবৃর্ত্তদের ছুরিকাঘাতে সাব্বির হোসেন জখম হন। রোববার ভোরে উপশহর ট্রাক স্ট্যান্ডে গাড়ি রেখে বাড়িতে যাওয়ার পথে ছিনাতাইকারীদের ছুরিকাঘতে বালুবিক্রেতা সাকিল হোসেন জখম হন। মেয়েলি, মাদক সংক্রান্তসহ বিভিন্ন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সফিকুর রহমান, নাজিম উদ্দিন, মিজানুর রহমান মনা এবং রেজাউল ইসলাম দুবৃর্ত্তদের ছুরিকাঘতে জখম হয়ে জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডাক্তার বিচিত্র মল্লিক বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় বিভিন্ন ঘটনায় ছুরিকাঘাত হয়ে ৯জন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৩জন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ৬জন হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।