কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের আকাশে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। কালজয়ী এ সাহিত্যিকের লেখায় ফুটে উঠেছে বাঙালির স্বজাত্যবোধ ও স্বাধীনচেতা মনোভাব।
তার অনন্য সাহিত্যকর্ম বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ মধুসূদন দত্ত বাংলা ভাষায় মহাকাব্য রচনা এবং বাংলা কবিতায় অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তনের পথিকৃৎ। বিশ্ব সাহিত্যের ভান্ডারে প্রবেশ করে মণি—মুক্তা আহরণ করে তিনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। নাটক, প্রহসন, মহাকাব্য, পত্রকাব্য, সনেট, ট্রাজেডিসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তার অমর সৃষ্টি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে উন্নত মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
শনিবার মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মবাষির্কী উপলক্ষে আয়োজিত ৯দিনের মধুমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল ছিল মধুমেলার শেষ দিন। কবির জন্মভূমি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়িতে গত ১৯ জানুয়ারিতে এই মেলা শুরু হয়। মেলার দিনগুলিতে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে ছিল উৎসবের আমেজ।
সাগরদাঁড়ির মধুমঞ্চে সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জন্মোৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি ও যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাসান মজুমদার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যশোর—৬ কেশবপুর আসনের সংসদ সদস্য আজিজুল ইসলাম, যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. কুদরত—ই—হুদা ও আবু শারাফ সাদেক কারিগরিক কলেজের প্রভাষক কানাইলাল ভট্টাচার্য।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মধুসূদন জন্মোৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুহিন হোসেন।