ঢাকাকে পূর্ব ভারতের চিকিৎসা শিল্পের সঙ্গে পরিচিত করার জন্যে এবং মেডিকেল ট্যুরিজমের গুরুত্ব ও উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য আগামী ২১ এপ্রিল ঢাকা ক্লাবে একটি মেডিকেল ট্যুরিজম কনক্লেভ অনুষ্ঠিত হবে। ‘অ্যাডভান্সিং হেলথ কেয়ার এক্সিলেন্স: বাংলাদেশে ব্যতিক্রম মাসডো’র মেডিকেল ট্যুরিজম কনক্লেভ’ শিরোনামে এই অনুষ্ঠান হবে।
ব্যতিক্রম মাসডো ‘বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশন ও গুয়াহাটি, অসম’ এবং ‘ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ’ যৌথভাবে এই মেডিকেল ট্যুরিজম কনক্লেভ আয়োজন করছে। ঢাকা ক্লাবে সকাল ৯টা থেকে এই কনক্লেভ শুরম্ন হবে। কনক্লেভ এর মূল উদ্দেশ্য পূর্ব ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ঢাকায় একেবারে নিম্নস্তর থেকে শীর্ষস্তর পর্যন্ত তুলে ধরা। তাছাড়া সারা বাংলাদেশে অসমের চিকিৎসা শিল্পকে উন্নীত করে পূর্ব ভারতকে বাংলাদেশের রোগীদের জন্য চিকিৎসা পর্যটনের গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলা।
২১ এপ্রিলে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য কনক্লেভ সম্পর্কে ব্যতিক্রম মাসডো এর সভাপতি ড. সৌমেন ভারতীয়া বলেন, ‘এই কনক্লেভ চিকিৎসা পরিষেবার মান ও সুযোগ বাড়াতে পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশের চিকিৎসা পেশাজীবী, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যসেবা সংস্থাগুলির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চলেছে।
একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কনক্লেভকে ব্যবহার করে চিকিৎসা পর্যটনকে উন্নীত করে পূর্ব ভারত এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো এবং দক্ষতা বাড়াবে। এটি দুই অঞ্চলের মধ্যে সেরা অনুশীলন, চিকিৎসা ব্যবস্থায় অগ্রগতি এবং উদ্ভাবনী স্বাস্থ্যসেবা সমাধানের বিনিময়কেও উৎসাহিত করবে।’
কনক্লেভে অসমের সুযোগ, সম্ভাবনা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলোচনার ব্যবস্থা থাকবে। মেডিকেল ট্যুরিজমের জন্য একটি হাব, চিকিৎসা, পর্যটন ইত্যাদি ক্ষেত্রেও বিশেষজ্ঞদের সাফল্যের গল্প তুলে ধরার জন্য বিশেষভাবে একটি অধিবেশন করা হবে যেখানে আগামী দিনে যারা মেডিকেল ট্যুরিজমের সাথে যুক্ত হতে চান তাদের অনুপ্রাণিত করতে, পুরস্কার ও স্বীকৃতি দেওয়া হবে। বিশেষজ্ঞদের কৃতিত্ব দিয়ে সবশেষে সাধারণ জনগণের মধ্যে মেডিকেল ট্যুরিজমের গুরুত্ব ও উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কনক্লেভে একটি জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
কনক্লেভ সম্পর্কে ড. ভারতীয়ার আরও বলেন, অসমের সেরা ডাক্তার এবং সুযোগ-সুবিধাসহ মেডিকেল ট্যুরিজমের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। যাইহোক, আমরা বিশ্বাস করি এই কনক্লেভের মাধ্যমে অসম পর্যটন সেক্টরেও উন্নতি করবে।
গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার রম্নহুল আমিন বলেন, ‘এমন কনক্লেভ প্রথমবারের মতো হতে চলেছে।
ব্যতিক্রম ঢাকায় এমন কনক্লেভের আয়োজন করবে। অসমের রাজধানী শহর, অর্থাৎ গুয়াহাটিতে চিকিৎসা খাতে উন্নতি হয়েছে এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে অনেক পরিবর্তন এনেছে এবং অবশ্যই, রাজ্যের রাজধানীতে চিকিৎসা খাতের বৃদ্ধি স্বাস্থ্যকে একটি নতুন জীবন দিয়েছে।’
উলেস্নখ্য, ব্যতিক্রম গ্রম্নপের একটি ১৮ বছর বয়সী একটি এনজিও হলো ব্যতিক্রম মাসডো, ব্যতিক্রম মাস অ্যাওয়ারনেস ও সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন (বিএমএএসডিও)। এই সংস্থা ভারতের সমগ্র উত্তর-পূর্ব অংশে কাজ করে।
ব্যতিক্রম প্রতিষ্ঠার পর থেকে জনকল্যাণ, শিক্ষাগত সুবিধা এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়নের মতো সামাজিক সমস্যা নিয়ে কাজ করে চলেছে। দক্ষতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এই এনজিওর সাথে যুক্ত এবং রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তরের সহযোগিতায় প্রচুর কাজ করা হয়েছে। -সংবাদ বিজ্ঞপ্তি