নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার বলেছেন, তৃণমূলের চাওয়ায় তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুকে যশোর সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী করা হয়েছে। আমি এ নির্বাচনে আসা মানে এ নির্বাচন থেকে আমাকে কেউ সরাতে পারবে না ইনশাআলস্নাহ। আমি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবার সাথে কথা বলেছি যারা এখনো শোনেননি; আশা করি তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। এখন ভিন্ন চিšত্মা করে লাভ নেই। তাই আমি বলবো আওয়ামী লীগের তৃণমূলের মতামতকে মূল্যায়ন করে উপজেলা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুকে বিজয়ী করতে হবে।
গতকাল সোমবার যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবন্দ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভাস্থল নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। নেতাকর্মীরা জয় বাংলা; জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে এলাকা মুখর করে তোলেন। একইসাথে সভামঞ্চে চাঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার প্রতিশ্রম্নতি দেন।
সভায় শাহীন চাকলাদার আরও বলেন, আমি সদর উপজেলাবাসীর সাথে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। শুধু তাই না আগামী যে নির্বাচনই হবে সেই নির্বাচন আপনাদের সাথে থেকে করব ইনশাআল্লাহ। তিনি আরও বলেন, আমি সন্ত্রাসী দেখতে চাই না। সন্ত্রাসীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের পিছনে কেউ যদি লাগে তার পরিণাম ভালো হবে না।
আপনারা জানেন ২০০১ সালে জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর যখন মানুষের উপর নির্যাতন শুরম্ন হয়েছিল। যারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর স্লোগান দিয়েছে, শেখ হাসিনার স্লোগান দিয়েছে তাদের উপর শুরম্ন হতো নির্যাতন। দুঃসময়
দুর্দিনে আমিই যশোরে আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে আগলে রেখেছি। এ কারণে তৃণমূলের মানুষের ভালোবাসা ও দোয়া পেয়েছি।
চাঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াজেদ আলী মোড়লের সভাপতিত্বে ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ফুলের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জিয়াউল হাসান হ্যাপি, উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহমুদ হাসান বিপু, জেলা
আওয়ামী লীগের সদস্য মশিয়ার রহমান সাগর, সামির ইসলাম পিয়াস, সাবেক সদস্য রেজাউল ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জৌৎ¯্না আরা মিলি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম নিয়ামত-উল্লাহ, চাঁচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামীম রেজা, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, পৌর
কাউন্সিলর আলমগীর কবির সুমন, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফিরোজ খান, আজিজুল হক, সদস্য মিজানুর রহমান বাবলু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দীন কবির পিয়াস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান হৃদয় ও মাসুদ হাসান কৌশিক, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, যুব মহিলা লীগ নেত্রী শেখ সাদিয়া মৌরিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত
সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান ভূইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক কুতুব আলী বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক, মঞ্জুরে মাহাবুব, ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, শফিয়ার রহমান, নাজমা খাতুন, শহিদুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, সাবেক ইউপি সদস্য মাকসুদুর রহমান, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ সরদার, ২ নং
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন ডাক্তার, ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কিতাব আলী সরদার, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেম্বর সেলিম আহমেদ শাšিত্ম, সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দর আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মশিয়ার রহমান মোড়ল, ওহিদুজ্জামান লিটন, নিতাই সরকার, সেলিম আহমেদ, ইনতাজ আলী, যুবলীগ নেতা শেখ ফারম্নক, আলম সরদার, কামারম্নজ্জামান দিপু, ছাত্রলীগ নেতা কবিরম্নজ্জামান কাজল, যুবলীগ নেতা বাবুল সরদার প্রমুখ।