বিশেষ প্রতিনিধি: জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান বলেন, সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়া কিশোর—কিশোরীরা মানসিক বিকার গ্রস্থতায় ভোগে, অনেকেই এই যন্ত্রনা ও চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে। সাইবার বুলিং প্রতিরোধে টোল ফ্রি নম্বর ১৩২১৯।
সাইবার বুলিংয়ের শিকার যে কেউ এ নম্বরে ফোন করে সাহায্য নিতে পারবে। তিনি বলেন, সাইবার বুলিং প্রতিরোধ শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, সবারই দায়িত্ব এটি প্রতিরোধ করার। যার যার অবস্থান থেকে প্রচার, জনসতেনতা তৈরি করাসহ প্রয়োজনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করে সম্মিলিতভাবে এই সমস্যার প্রতিরোধ করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের সীমানা আছে কিন্তু ভার্চুয়াল জগতের কোনো সীমানা নেই, ফলে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে শুধু দেশীয় ব্যবস্থা প্রতিকারের জন্যে যথেষ্ট নয়, সিস্টেম ডেভেলপ করাসহ নতুন সিস্টেম সংযুক্ত করে এর প্রতিকার করতে হবে। তাছাড়া বুলিং শিকার হওয়া মানুষটির পাশে আন্তরিকভাবে পাশে দাঁড়িয়ে সম্মিলিতভাবে এর প্রতিকার করতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্যে নিরাপদ করতে হবে পৃথিবী।
গতকাল রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কিশোর কিশোরীদের জন্যে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ কমিটির জেলা পর্যায়ের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) এস এম শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) খালেদা আক্তার রেখা, আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সাদাত রহমান প্রমুখ।
যশোরে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এ সভায় নির্ধারিত সদস্যদের অনেকেই উপস্থিত না থাকায় প্রধান অতিথি কিছুটা উষ্মা প্রকাশ করেন। সভায় জানানো হয়, সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সেবার জন্যে ৯৯৯ এর মতো টোল ফ্রি অনেক নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধেও ১০৯ এ ফোন দিয়ে সহায়তা পাওয়া যাবে। বেশি বেশি করে এসব নম্বরের প্রচার ও ব্যবহারে উৎসাহিত করার কথাও সভায় জানানো হয়। স্কুল কলেজের কিশোর—কিশোরীদের মধ্যে বেশি বেশি সাইবার সচেতনতা বৃদ্ধির উপরও জোর দেয়া হয় সভায়। এজন্যে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন করার জন্যও পরামর্শ দেয়া হয়।