ফারুক আহমেদ, মাগুরা : মাগুরা সদর উপজেলার বগিয়া ইউনিয়নের পুখরিয়া আলোকদিয়া আলিম মাদরাসার ছাত্র রায়হান মল্লিকের দাখিল পরীক্ষার ফরম ফিলাপ না করায় শিক্ষককে ধমক দিলেন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম। গত বুধবার ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মাদরাসার সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, সুপার আয়নাল হককে বলা হলো দাখিল পরীক্ষার্থী রায়হান মল্লিকের পরীক্ষা কেন দিতে পারলো না। তিনি আরও বলেন, দাখিল বোর্ড পরীক্ষার ১ দিন পূর্বে জানতে পেরেছি যে রায়হানের ফরম ফিলাপ হয়নি। সুপারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে সভাপতি বলেন, সুপার এখন অসুস্থ। তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসলে গভর্নিং বডি, মাদরাসার স্টাফ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সমন্বয় করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
<<আরও পড়তে পারেন>> নতুন ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু
বগিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সদস্য খলিল বলেন, ম্যানেজিং কমিটির তফসিল সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না। কেরামত মল্লিক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হয়ে তার ছেলে পরীক্ষা দিতে পারলো না তার ভবিষ্যত কি হবে এটা আমার প্রশ্ন।
পুখরিয়া আলোকদিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার আয়নাল হক বলেন, আমি অসুস্থ আমি এখন কথা বলতে পারছি না। ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের তফসিল কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এটা তিনি জানি না বলে জানান। পরবর্তীতে তার স্ত্রী জানান তিনি এখন অসুস্থ কিছু বলতে পারবেন না।
রায়হান মল্লিকের পিতা কেরামত মল্লিক বলেন, সুপার আয়নাল হক আমার ছেলের দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম ফিলাপ বাবদ ৩ হাজার ৫ শত টাকা নিয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে তার রেজিষ্ট্রেশন হয়েছে কিন্তু ফরম ফিলাপ করে দেননি।
পুখরিয়া গ্রামের মন্টু মোল্লা জানান, যে ছেলেটা পরীক্ষা দিতে পারেনি তাকে নিয়ে সবাই ছেলের পক্ষে চেয়ারম্যানের বাড়িতে যাই। মাদরাসার সভাপতি নজরুল ইসলাম হঠাৎ করে চেয়ার থেকে উঠে সুপারকে ধমক দেন। এসময় সুপার কাঁপতে কাঁপতে অজ্ঞান হয়ে যান।
বগিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর রওনক হোসেন জুন্নু বলেন, ধমক দেওয়ায় তিনি কাঁপতে কাঁপতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
মাগুরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহিম জানান, মাদরাসার তফসিল লোকাল পত্রিকায় প্রকাশের বিধান নেই। শুধু মাত্র বাংলাদেশের মধ্যে যশোর শিক্ষা বোর্ডের স্কুল ম্যানেজিং কমিটির তফসিল লোকাল পত্রিকায় দেয়ার বিধান রয়েছে। গভর্ণিং বডি নয়, মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটি হবে।