যশোরে সর্বনিম্ন ফিতরা একশ’ টাকা ধার্য করা হয়েছে। জেলা ইমাম পরিষদ যশোর ও যশোর জেলা ফতোয়া বোর্ডের “ফিতরা ও যাকাতের নিসাব ধার্য” বিষয়ে যৌথ পরামর্শ সভায় এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়। সোমবার জেলা ইমাম পরিষদ, যশোরের অস্থায়ী কার্যালয় বায়তুচ্ছালাম জামে মসজিদে জেলা ইমাম পরিষদ যশোরের উপদেষ্টা ও যশোর জেলা ফতোয়া বোর্ডের সভাপতি মুফতি মুজিবুর রহমান’র সভাপতিত্বে জেলা ইমাম পরিষদ যশোর ও যশোর জেলা ফতোয়া বোর্ডের এই যৌথ পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরামর্শ সভায় যশোরের বাজার মূল্য যাচাই পূর্বক ফিতরা ও যাকাতের পরিমাণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আটা’র হিসাবে ধার্যকৃত ফিতরা ১০০ টাকা, খুরমা হিসাবে ধার্যকৃত ফিতরা এক হাজার ১৬০ টাকা, কিশমিশ হিসাবে ধার্যকৃত ফিতরা দুই হাজার ১২০ টাকা এবং পনির হিসাবে ধার্যকৃত ফিতরা দুই হাজার ৬৪০ টাকা।
ধার্যকৃত ফিদয়াহ’র পরিমাণ প্রত্যেক রোযার পরিবর্তে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা । উলি¬খিত ফিদয়াহ’র সর্বনিম্ন পরিমাণ প্রতি রোজার পরিবর্তে কেবলমাত্র মা'জুর ব্যক্তি যে বার্ধক্য অথবা অসুস্থতার কারণে রোজা রাখতে পুরোপুরি অক্ষম এমনকি পরবর্তীতেও রোজা রাখার সক্ষমতা অর্জনের সম্ভাবনা নেয়, তার জন্য প্রযোজ্য।
এছাড়া সভায় যাকাতের ধার্যকৃত নিসাব ধার্য করা হয়েছে ৯০ হাজার টাকা। এই ৯০ হাজার টাকা বা সমমূল্যের যাকাতযোগ্য সম্পদের মালিক হলে এবং এই সম্পদ এক বছরকাল স্থায়ী থাকলে তার জন্য যাকাত আদায় করা ফরয।
পরামর্শ সভায় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা ইমাম পরিষদের সেক্রেটারি মাওলানা বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা রুহুল আমিন, মাওলানা হামিদুল ইসলাম, মাওলানা নাসীরুল্লাহ, মুফতি সামসুর রহমান, মাওলানা নাজিরুদ্দীন, মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, মুফতি হাফিজুর রহমান, মুফতি কামরুল আনওয়ান নাঈম, মুফতি আব্দুর রহীম, মুফতি মাহমুদুল হাসান, মুফতি হাবিবুল¬াহ, মাওলানা আবু হুরায়রা, মুফতি কবিরুল ইসলাম, মুফতি আব্দুল হান্নান, মুফতি শরীফ মাহমুদ, মাওলানা মুহিববুল¬াহ হাবিবী প্রমুখ। — সংবাদ বিজ্ঞপ্তি