বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোল¬াহাটে দুই বংশের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে পান্না মোল¬া নামে একজন নিহত হয়েছেন। এসময় পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন আরো অন্তত ২৮ জন।
বাগেরহাট জেলার মোল¬াহাট উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের মোল¬ারকুল গ্রামে রোববার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা থেকে প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে এই হতাহতাতের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ওই এলাকায় নতুন করে সংঘাত এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
নিহত পান্না মোল¬া (৪০) মোল¬ারকুল গ্রামের তৈয়ব আলী মোল¬ার ছেলে।
মোল¬াহাট উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের মোল¬ারকুল গ্রামের খাঁকি ও কাজী বংশের আধিপত্য নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। এই বিরোধের জেরে রোববার বিকেলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) রাসেলুর রহমান রাত নয়টায় এই প্রতিবেদককে বলেন, মোল¬াহাট উপজেলার মোল¬ারকুল গ্রামের আধিপত্য নিয়ে স্থানীয় খাঁকি ও কাজী বংশের বিরোধ বেশ পুরানো। সেই বিরোধের জেরে রোববার বিকেলে মোল¬ারকুল হাটে কাজী বংশের দুই সমর্থকের সাথে খাঁকি বংশের সমর্থকদের কথাকাটাকাটি হয়।
পরে তারা আলাদা আলাদাভাবে ঢাল সড়কি, ইট পাটকেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সুজজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দেশিয় অস্ত্র নিক্ষেপের মধ্যে এই দুটি পক্ষই বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে। এই সংষর্ষের খবর পুলিশের কাছে আসলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করে। উভয়পক্ষের সংঘর্ষে কাজী বংশের সমর্থক পান্না মোল¬া নামে একজন গুলিতে নিহত হয়েছেন।
এ সংঘর্ষে পুলিশের ছয়জন সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। আহতদের স্থানীয় মোল¬াহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পান্না মোল¬া গুলিতে না দেশিয় অস্ত্রের আঘাতে মারা গেছেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওই এলাকায় নতুন করে সংঘাত এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।