২২শে মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের তাপমাত্রার রেকর্ড
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের তাপমাত্রার রেকর্ড

সমাজের কথা ডেস্ক :  চুয়াডাঙ্গায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় জেলায় সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। চলতি মৌসুমের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। এর আগে গত ৬ এপ্রিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি, ১ ও ৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছিল।

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বইতে থাকায় জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। প্রচণ্ড গরম অনুভূত হওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। দাবদাহ থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষ ছাতা মাথায় বা গাড়িতে চলাচল করছেন। কৃষিকাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের ক্লান্ত দেহে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণিকুল।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। মঙ্গলবার বিকালে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৭ শতাংশ। এ অবস্থা আরও কিছু দিন চলতে পারে। এখনই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।’

জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ১ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় প্রথম মাঝারি তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ওই দিন জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে ২ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ২, ৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫, ৪ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ২, ৫ এপ্রিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তাপমাত্রার হিসাবে ১ থেকে ৫ এপ্রিল টানা পাঁচ দিন মাঝারি তাপপ্রবাহ ছিল। ৬ এপ্রিল ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেড়ে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উন্নীত হয়। এরপর থেকে ৩৮-৪০ ডিগ্রির মধ্যে টানা তাপপ্রবাহ চলছে, যা মঙ্গলবার মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডে গড়ায়।

আবহাওয়াবিদরা জানান, ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। এছাড়া ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও ৪২ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রাকে খুব প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বলা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, এদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের তাপ। তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়ায় চারপাশে। শ্রমজীবী মানুষরা পড়েছেন চরম বিপাকে। নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, ইজিবাইক চালক ও ভ্যান-রিকশা চালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদের। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না। ছন্দপতন ঘটছে দৈনন্দিন কাজকর্মে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email : samajerkatha@gmail.com
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram