সমাজের কথা ডেস্ক : সুস্থতার জন্য নির্বিঘ্ন ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। ভালো ঘুমের জন্য চাই ঠিকঠাক পরিবেশ। চাই মানসিক স্থিতিশীলতা। খাবারদাবারের প্রভাবও পড়ে ঘুমের ওপর।
ভাত খাওয়ার পর অনেকের ঝিমুনি আসে। চা—কফি খেলে অনেকের আবার ঘুমভাব কেটে যায়। এর বাইরেও কিন্তু বেশ কিছু খাবার আছে, যেগুলোর প্রভাব পড়ে ঘুমের ওপর। তবে মনে রাখতে হবে— ঘুমের ওপর খাবারের এই প্রভাব ব্যক্তিভেদে কমবেশি হয়ে থাকে।
ঘুমের শত্রু যেসব খাবার :
ক্যাফেইনসমৃদ্ধ খাবার : চা—কফিতে ক্যাফেইন থাকে। তাই এগুলো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
মসলাদার খাবার : মসলাদার খাবারে অ্যাসিডিটি হতে পারে। আপনি বুক জ্বালাপোড়ার মতো অস্বস্তিকর সমস্যায় ভোগার ফলে প্রশান্তির ঘুম থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।
ভারি খাবার, চর্বিযুক্ত খাবার : রাতে ভারি খাবার খেলে ঘুম আসতে দেরি হতে পারে। যারা চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খান, তাদের ঘুমের সময়কাল কমে যেতে পারে।
মিষ্টি, ফাস্টফুড এবং অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত (আলট্রা—প্রসেসড) খাবার বেশি খেলে ঘুম ঠিকঠাক না হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
অ্যালকোহল : অ্যালকোহল খেলে দ্রুত ঘুম আসে। কিন্তু সেই ঘুম ঠিক ‘ভালো’ ঘুম নয়, বরং বিঘ্নিত ঘুম।
ভালো ঘুমের জন্য যেসব খাবার :
কাঠবাদাম : কাঠবাদাম মেলাটোনিনের উৎস। তাই ভালো ঘুমের জন্য রাতে একমুঠো কাঠবাদাম খেতে পারেন।
সাদা ভাত : ভাত বলতে আমরা সাধারণভাবে সাদা ভাতকে বুঝি, যা আমাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় হুট করে। এর কারণে ঘুম ভালো হয়।
ওটমিল : ওটমিল খেলেও কিন্তু ঘুম আসতে পারে। এতেও আছে মেলাটোনিন।
তেলযুক্ত মাছ : তেলযুক্ত মাছে থাকে ভিটামিন ডি এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। ভালো ঘুমের জন্য রাতে তেলযুক্ত মাছ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
দুধ ও দই : দুধ ও দই খেলেও ভালো ঘুম হয়। হালকা শরীরচর্চা করে এক গ্লাস দুধ কিংবা এক কাপ দই খেয়ে ঘণ্টাখানেক পর ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
কলা : কলায় আছে ম্যাগনেসিয়াম। খনিজ উপাদানগুলোর মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম এমন একটি উপাদান, যা পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে ঘুম ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন।