নিজস্ব প্রতিবেদক : কেউ এসেছে শিক্ষকের হাত ধরে, কেউ বা মা—বাবাকে সঙ্গে নিয়ে। বন্ধুদের সঙ্গেও এসেছে অনেকে। কেউ নিয়ে এসেছে তার উদ্ভাবনী প্রকল্প, কারও হাতে পোস্টার আর কেউ কেউ উপস্থাপন করবে বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ। স্কুল—কলেজের ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের কত কী যে আবিষ্কার !
মঙ্গলবার যশোর জিলা স্কুলে বসেছিল এ রকম অনেক খুদে বিজ্ঞানীর মিলনমেলা। যশোর সদর উপজেলার আয়োজেন ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়।
<<আরও পড়তে পারেন>> উত্তাল ইবি : উপাচার্য—ছাত্রলীগের মুখোমুখি শিক্ষক—কর্মকর্তারা
যশোর সদর উপজেলার ৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞান মেলায় তাদের প্রকল্প উপস্থাপন করে। এসব প্রকল্পের মধ্যে বর্জ্য পদার্থ দ্বারা বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিকল্পিত নগরায়ন, স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থাপনা, ব্যবহার্য পানি পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ ও রোবট ব্যবহার অন্যতম প্রদর্শন করা হয়।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি স্টলের সামনেই কৌতূহলীদের ভিড়। বিভিন্ন বয়সী মানুষ স্টল ঘুরে দেখছেন। তাদের উদ্ভাবনের খুটিনাটি বুঝিয়ে বলছেন উদ্ভাবকরা। এরপরও প্রশ্ন। সব প্রশ্নের জবাব দিতে হচ্ছিল। তবুও ক্লান্তি নেই।
যশোর কালেক্টরেট স্কুলের একটি স্টলে গিয়ে দেখা যায়, রোবটের মাধ্যমে বাড়ি নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সকল কাজ করা যায়। বাড়িতে বৃদ্ধ মা—বাবা থাকলে তারা একাকিত্ব বোধ করেন। এ রোবট তাদের একাকিত্ব দূর করবে। মনের সকল কথা শুনবে এবং রোবট মা—বাবার সাথে কথা বলে সঙ্গ দিবে। টাইম টু টাইম গাছের পানি থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সকল কাজের কথা মনে করিয়ে দিতে পারবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন, যশোর—৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রিপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, যশোর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শোয়াইব হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম প্রমুখ।