সমাজের কথা ডেস্ক : গাজীপুর কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনায় আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তারা মারা যায়।
নিহতরা হলো— সোলাইমান (১০) ও রাব্বি (১১)। এনিয়ে এ পর্যন্ত দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, সোলাইমানের শরীরের ৮০ শতাংশ ও রাব্বির ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
মৃত সোলাইমানের মামা মো. সোহাগ জানান, ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার বালুকজান গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সোলাইমান। বাবা—মায়ের সঙ্গে কালিয়াকৈরে থাকতো। স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়তো সে। এই ঘটনায় পরিবারটির সবাই সুস্থ থাকলেও গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হওয়ার পর সেটি দেখতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছিলো সোলাইমান।
এদিকে রাব্বির বাবা শাহ আলম জানান, তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার তারটিয়া গ্রামে। পরিবার নিয়ে গত আট বছর যাবৎ গাজীপুরে থাকেন তিনি। সেখানে ফেরি করে আইসক্রিম বিক্রি করেন। রাব্বী দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলো। গত পাঁচ বছর আগে রাব্বীর মা নাজমা বেগম অসুস্থ হয়ে মারা যান। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। সেই ছোট স্ত্রীর কাছে থাকতো রাব্বী। রাব্বী নাটোর ক্যান্টনমেন্টে চতুর্থ শ্রেণিতে পরে। সে বাবার কাছে বেড়াতে এসেছিলো। আসার পর সেখানে আগুনে দগ্ধ হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তেলিরচালা টপস্টার কারখানার পাশে শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী জমি ভাড়া নিয়ে কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। ওই বাড়িতে থাকা সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের একটি দোকান থেকে শফিকুল নিজেই একটি গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনেন। সেই সিলিন্ডার লাগানোর সময় সিলিন্ডারের চাবি খুলে গিয়ে পাশের চুলা থেকে আগুন ধরে যায়। এ সময় আশপাশের উৎসুক নারী, পুরুষ ও শিশুদের শরীরে আগুন লেগে যায়।