নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ বৃহস্পতিবার যশোর বোর্ডসহ সকল শিক্ষাবোর্ডের আওতায় সারাদেশে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এদিন সকাল ১০টা বাংলা পরীক্ষা শুরু হবে। শেষ হবে বেলা ১টায়। পরীক্ষা চলবে আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত। ইতোমধ্যে পরীক্ষা আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে যশোর শিক্ষা বোর্ড।
<<আরও পড়তে পারেন>> মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও চিন্তিত অপু দাস
বোর্ড সূত্র জানায়, চলতি বছর যশোর বোর্ডের আওতায় ১০ জেলায় ১ লাখ ৬২ হাজার ৭০০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। ২৯৩টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৫শ৬৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এবার প্রায় ৫ হাজার পরীক্ষার্থী বেড়েছে। গত বছর প্রায় ১ লাখ ৫৮ হাজার পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নিয়েছিল।
চলতি বছর পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র রয়েছে ৭৯ হাজার ৯৯১জন এবং ছাত্রী রয়েছে ৮২ হাজার ৭০৯ জন। সে হিসেবে ছাত্রের চেয়ে ২ হাজার ৭১৮জন বেশি ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৪১ হাজার ৬৩১জন, মানবিকে ১ লাখ ২ হাজার ৯৫৮ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১৮ হাজার ১১১জন শিক্ষার্থী রয়েছে। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৪২ হাজার ৪৯২জন, অনিয়মিত ২০ হাজার ৮২জন এবং মান উন্নয়নের জন্যে পরীক্ষা দিচ্ছে ১২৬ জন।
মোট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে খুলনা জেলায় ৫৭ কেন্দ্রে ২৪ হাজার ১২৯ জন, বাগেরহাট জেলায় ২৭ কেন্দ্রে ১৩ হাজার ৯৪৭ জন, সাতক্ষীরা জেলায় ২৮ কেন্দ্রে ১৬ হাজার ৯৯৪ জন, কুষ্টিয়া জেলায় ৩১ কেন্দ্রে ২৩ হাজার ১৫৪ জন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৮ কেন্দ্রে ১১ হাজার ২০৪ জন, মেহেরপুর জেলায় ১৩ কেন্দ্রে ৭হাজার ৭৮২ জন, যশোর জেলায় ৫২ কেন্দ্রে ২৬ হাজার ৯০১জন, নড়াইল জেলায় ১৪ কেন্দ্রে ৮ হাজার ২১জন, ঝিনাইদহ জেলায় ৩৬ কেন্দ্রে ১৯ হাজার ৪৫০ জন এবং মাগুরা জেলায় ১৭ কেন্দ্রে ১১ হাজার ১১৮ জন রয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ জানিয়েছেন, সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসকসহ, শিক্ষা কর্মকর্তা, কেন্দ্র সচিব ও অন্যদের সাথে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ হয়েছে। বিভিন্ন জেলার জন্যে ভিজিলেন্স টিমও গঠিত হয়েছে। গ্রহণযোগ্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষা বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্র সচিব ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে কড়া নজরদারি থাকবে প্রশাসনের।