নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্যুতের লাইন কেটে দেয়ায় শহরের রেল স্টেশন এলাকার হরিজন স¤প্রদায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে। রোববার বিকেলে ৩টার দিকে পৌর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে যশোর পৌরসভার রেল স্টেশন হরিজন কলোনীর বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেয়। পরে হরিজন কলোনীবাসী রাত আটটার দিকে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বিক্ষোভকারী বাবু হরিজন বলেন, বর্তমান মেয়র তাদের কোনো সুযোগ—সুবিধা দেয় না। আবার তারা বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিয়েছে। তাদের যে বেতন—ভাতা দেয়া হয় এতে তাদের সংসার চলে না বিদ্যুৎ বিল শোধ হবে কিভাবে?
যশোর পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিরণ লাল সরকার বলেন, ব্রিটিশ প্রিয়ডে আমাদের বলা হয়েছিলো আমাদের থাকার জায়গা, বিদ্যুৎ, পানি ফ্রি দেয়া হবে এবং সকল সুবিধার ব্যয় পৌরসভা পৌরসভা বহন করবে। সেই থেকে আমরা কোনো বিল পৌরসভাকে দিই না।
কিন্তু যশোর পৌরসভার বর্তমান মেয়র বিদ্যুৎ বিলের কোনো দায়ভার নিতে চাচ্ছে না। আজ বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেয়ায় বিকেল ৩টা থেকে এত রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি।’
তিনি আরও বলেন, ৩ হাজার টাকা বেতন দেয়। আমরা কিভাবে বিদ্যুৎ বিল দেবো আর আমাদের ছেলে—মেয়ে পরিবার নিয়ে চলবো কিভাবে। রাতের মধ্যে বিদ্যুৎ না দিলে সোমবার থেকে পৌরসভার সকল শ্রমিক কাজ বন্ধ রাখবে।
যশোর পৌরসভার মেয়ার হায়দার গণি খান পলাশ বলেন, অবৈধভাবে যশোরে তিনটি হরিজন কলোনীবাসী পৌরসভার জমিতে বসবাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। এ তিনটি কলনীতে কয়েক কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। হরিজনদের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, তোমরা বিদ্যুৎ মিটার লাগিয়ে তোমাদের মতো করে ব্যবহার করো।
আর পৌরসভার পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ বিভাগের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে দেয়া হবে। তারা এ প্রস্তাবে রাজিও হয়েছিল এবং সেই অনুযায়ী যশোর পৌরসভা কাজ এগিয়ে নিছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে কয়েক দিন আগে তারা জানান, এ প্রস্তাবে রাজি না। এ প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় তাদের লাইন কেটে দেয়া হয়।’
যশোর কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় যশোর পৌরসভা বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিয়েছে। এজন্য তারা শহরের বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
