অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি : দেড় মাস ধরে যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ৫০ ও ১০০ টাকার স্ট্যাম্প সংকট দেখা দিয়েছে। ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প কিনতে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। ১০০ টাকার স্ট্যাম্পের জন্য নেওয়া হচ্ছে ২০০ টাকা। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) উপজেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও নওয়াপাড়া দলিল লেখক সমিতি চত্বর ঘুরে স্ট্যাম্প সংকট ও বাড়তি দামের এমনই তথ্য পাওয়া যায়।
জানা গেছে, নওয়াপাড়া দলিল লেখক সমিতির আওতায় ৯ জন স্ট্যাম্প ভেন্ডার রয়েছে। এর মধ্যে কিছু অসাধু স্ট্যাম্প ভেন্ডার সিন্ডিকেট তৈরি করে সংকট দেখিয়ে তা দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে। ৫০ টাকার স্ট্যাম্প ৭০ টাকা, ১০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করছে।
জমির দলিল, দলিল নিবন্ধন, চুক্তিপত্র, এফিডেভিট, হলফনামা, বন্ধকনামার চুক্তিপত্র, মালামাল খালাস আদেশ, শুল্ক বন্ড, শেয়ার বরাদ্দ, মামলা মোকাদ্দমাসহ বিভিন্ন কাজে স্ট্যাম্পের ব্যবহার বাধ্যতামূলক। আর এই বাধ্যতামূলকের সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু স্ট্যাম্প ভেন্ডার অতিরিক্ত লাভের আশায় বাড়তি দামে বিক্রি করছে বলে সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ।
স্ট্যাম্প কিনতে আসা বুইকারা গ্রামের শেখ ফজর আলী, নওয়াপাড়ার মো. হান্নান রহমান, একতারপুরের কওসার আলী মোল্যা বলেন, নতুন দোকানঘর ভাড়া নিয়েছি। চুক্তিপত্র করতে ১০০ টাকার তিনটি স্ট্যাম্প প্রয়োজন। তিনদিন ঘুরে দ্বিগুণ দামে সংগ্রহ করতে হয়েছে। নওয়াপাড়া বাজারের মনির শেখ বলেন, অভয়নগরে না পেয়ে যশোর থেকে ১০০ টাকার তিনটি স্ট্যাম্প ৩৯০ টাকায় কিনতে হয়েছে।
নওয়াপাড়া দলিল লেখক সমিতি চত্বরের স্ট্যাম্প বিক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে যশোর জেলায় স্ট্যাম্প সংকট দেখা দিয়েছে। অন্য এলাকা থেকে বেশি দামে কেনার কারণে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে স্ট্যাম্প বিক্রি করা হচ্ছে। ক্ষেত্র বিশেষে অনেকে ১০০ টাকার স্ট্যাম্প ২০০ টাকায় বিক্রি করছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।
নওয়াপাড়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল মুঠোফোনে জানান, সংকটের কারণে ভেন্ডাররা অন্য এলাকা থেকে স্ট্যাম্প বেশি দামে কিনে আনছে। ক্রয় খরচ বেশি হওয়ায় একটু বাড়তি দামে তা বিক্রি করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) থান্দার কামরুজ্জামান জানান, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে স্ট্যাম্প বিক্রির সুযোগ নেই। সংকট থাকলেও বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না। অভিযোগ পেলে সেই ভেন্ডারের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।