সমাজের কথা ডেস্ক : যশোরে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাঙালি সনাতন সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের ঐতিহাসিক লালদীঘিতে পাড়ে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য সমাপনী আলোচনা সাভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা শেষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এদিকে শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপে আয়োজিত দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে বিকেল থেকে মন্দিরে মন্দিরে বিপুল লোকসমাগ ঘটে। হিন্দু বিবাহিত নারীরা মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়। সেই সাথে চলে ধুনোচি নিয়ে নানা কায়দায় আরতি।
এদিকে, প্রতিমা বিসর্জন উপভোগ করতে সন্ধ্যা থেকেই ভক্তবৃন্দ, আয়োজক কমিটি ও দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে আইন—শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হিমসিম খেতে দেখা যায়। পৌর এলাকার সব মন্দিরের প্রতিমা লালদীঘিতে বিসর্জন দেয়া হয়।
বিভিন্ন এলাকা থেকে পিকআপে করে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আনা হয়। সাথে বাজে ঢাকের বিদায়ের সুর। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ পৌর এলাকার প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন করে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তপন ঘোষের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবরাউল হাসান মজুমদার, পুলিশ সুপার (এসপি) প্রলয় কুমার জোর্য়ারদ্দার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ, প্যানেল মেয়র মোকছিমুল বারী অপু, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম উদ দ্দৌল্লা, এমএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার, জেলা জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কায়েস, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, সহসভাপতি ফরাজি আহমেদ সাঈদ বুলবুল, যশোর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রাবনী সুর প্রমুখ।
উদ্বোধন পর্ব শেষে প্রতিমা বিসর্জন কার্যক্রম শুরু হয়। চলে মধ্যরাত পর্যন্ত।