সমাজের কথা ডেস্ক : চার ধাপের উপজেলা নির্বাচন শুরু হবে আসছে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবার নির্বাচনে যাচ্ছে দলীয় প্রতীক ছাড়াই। এ অবস্থায় ভোটে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা দলটির শীর্ষনেতৃত্ব এ বিষয়ে আরও সময় নিতে চায়। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা অবশ্য লাভ—ক্ষতির হিসাব শুরু করে দিয়েছেন।
দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন ইস্যুতে এখন পর্যন্ত দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম— জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা এখনো হয়নি। সময় হলে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
<<আরও পড়তে পারেন>> নিবন্ধন ঝুঁকিতে বিএনপি>
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^রচন্দ্র রায় বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আমাদের দলীয় ফোরামে কোনো আলোচনা হয়নি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বলেন, উপজেলা নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে তারা দ্বিধায় আছেন। উপজেলা নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি অংশ নিলে জনগণের কাছে একটা বার্তা যাবে যে, বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারকে বৈধতা দিয়েছে। যারা দলীয় সমর্থন পাবেন না, তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বিরুদ্ধে বাণিজ্যের অভিযোগ তুলবে। সরকারও বলবে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি ভুল করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ব্যাপারে দোলাচলে রয়েছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। দলের নীতিনির্ধারকরা পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত নিলে নেবেন।’