ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগের ২০১৫—১৬ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত ২২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। হেনস্থার শিকার নুসরাত জাহান কেয়া এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থী হলেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০—২১ শিক্ষাবর্ষের নিলয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জানুয়ারি ভুক্তভোগী এবং তার স্বামীর নিজস্ব গাড়িতে যশোর থেকে ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। ঝিনাইদহের ওয়াপদায় গাড়ি ইউটার্ন করতে গেলে বাইকের সাথে দুর্ঘটনার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে তৎক্ষণাৎ গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে পারায় তেমন কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এসময় একজন বাইকার তাদের গাড়ির সামনে এসে চাবি নিয়ে নেন। তারা ভুক্তভোগী ও তার স্বামীকে নানা হুমকি ধামকি এবং গালিগালাজ করেন বলে জানান।
ভুক্তভোগী আরও জানান, বাইকের কোনো ধরনের ক্ষতি না হওয়ায় প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রাইভেট গাড়িকে চলে যেতে বলে। কিন্তু পথিমধ্যে পুনরায় অপর এক বাইক দিয়ে কয়েকজন ছেলে এসে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে ও বাইকের ক্ষতিপূরণ চায় বলে। এসময় নিলয় বলেন, তার বাবা ডেপুটি রেজিস্ট্রার (ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য বিভাগের হারুন—উর—রশীদ)। ক্ষতিপূরণ না দিলে সেখান থেকে যেতে দেবেন না বলেও হুমকি দেন। অন্যায়ভাবে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার পরও ১হাজার ৫০০টাকা দেয়া হয় কিন্তু রশিদ চাওয়ায় তা দিতে অসম্মতি জানান তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নিলয় বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছিল। আমার গাড়ির ক্ষতি হওয়ায় আমি তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছিলাম। তবে আমি তাদের কোনো হুমকি দেইনি। আর জোর করে ক্ষতিপূরণও নেইনি ওনারাই আমার গাড়ির ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাকা দিয়েছেন। পরে আমি তাদের কাছে মাফও চেয়েছিলাম।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, একটি অভিযোগ পাওয়াগেছে। তবে এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তার নাম আসায় তাদেরকে উপাচার্যের নিকট অভিযোগটি পাঠাতে বলেছি। সেখান থেকে আমাদের নির্দেশনা দিলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।