নিজস্ব প্রতিবেদক : অশুভ শক্তি বিনাশে নবপত্রিকা প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে মহা সপ্তমীতে দেবী দুর্গা আরাধনা সম্পন্ন শেষে আজ রোববার শারদীয় দুর্গোৎসবের মহা অষ্টমী। বাঙালি সনাতন ধর্ম বিশ্বাসীদের শারদীয় উৎসবে দুর্গাপূজার আজ তৃতীয় দিন।
এদিন ভক্তরা তাদের অর্ঘ্য দেবেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার কমল চরণে। একইসাথে মাতৃবন্দনায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। এছাড়া আজ দুর্গোৎসবের অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিতে দেবীর ‘সন্ধিপূজা’ও অনুষ্ঠিত হবে।
প্রত্যেক পূজা মন্দির ও মন্ডপে শনিবার সপ্তমী তিথীর সকালে পূজা স্থলে কদলী বা রম্ভা (কলা), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (ডালিম), অশোক, মান ও ধান উদ্ভিদের সমন্বয়ে নবপত্রিকা প্রচলিত ভাষায় কলা বৌ প্রবেশের মধ্য দিয়ে দেবীর পূজা শুরু হয়।
‘নবপত্রিকাবাসিনী নবদুর্গা’ নামে ‘নবপত্রিকাবাসিন্যৈ নবদুর্গায়ৈ নমঃ’ মন্ত্রে পূজিতা হন।
এদিন বর্ণিল সাজে সজ্জিত দর্শনার্থী ও ভক্তবৃন্দের আনাগোনায় উৎসবমুখর ছিল পূজা প্রাঙ্গণ। আবহাওয়া ভালো থাকায় নির্বিঘ্নে এ উৎসবে শামিল হয়েছেন ছোট বড় সকলেই।
সন্ধ্যার পর থেকেই যশোর পৌর এলাকায় পূজা প্রাঙ্গণমুখী দর্শনার্থী ও ভক্তবৃন্দের উপচে পড়া ভিড় লক্ষণীয়।
মহাসপ্তমীর এদিন মন্দির—মন্ডপে শাস্ত্রবিধি অনুযায়ী নবপত্রিকাকে স্নান করানোর পর নতুন শাড়ি পরিয়ে মূল পূজা মন্দির বা মন্ডপে এসে দেবী দুর্গার ডান দিকে একটি কাষ্ঠ সিংহাসনে স্থাপন করা হয়।
পূজা স্থলে নবপত্রিকা প্রবেশের পর দর্পণে দেবীকে মহাস্নান করানো হয়। শেষে ভোগ আরতি ও ভক্তবৃন্দের অঞ্জলি প্রদান ও প্রসাদ গ্রহণ হয়। সন্ধ্যায় মঙ্গল আরতি অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ২২ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৬টায় মহা অষ্টমী পূজা কল্পারম্ভ। রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রম দুর্গা মন্দিরে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার বন্দনা অনুষ্ঠানে সকাল ১১টায় কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধিপুজো রাত আটটা ৬ মিনিট থেকে রাত আটটা ৫৪ মিনিট পর্যন্ত।
আগামীকাল ২৩ অক্টোবর সকালে মহানবমী পূজা কল্পারম্ভ এবং ২৪ অক্টোবর সকালে মহাদশমী কল্পারম্ভ— পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটের মধ্যে।