নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থের অভাবে মেডিকেলে ভর্তির শঙ্কায় থাকা মণিরামপুরে অপু দাস’র ভর্তিসহ পড়াশুনার দায়িত্ব নিয়েছেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ডানা মেলেছে চর্মকার পিতার ছেলে অপু’র ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন, খরচের চিন্তায় হাসি ম্লান’ শিরোনামে দৈনিক সমাজের কথা’সহ কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর ভর্তির বিষয়ে সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন তানজিব নওশাদ পল্লব। শুক্রবার যশোর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভর্তি জন্য ২০হাজার টাকা অপু দাস ও তার পিতা অসিত দাসের হাতে তুলে দেন পল্লব। একই সাথে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও মিষ্টিমুখ করানো হয়।
<<আরও পড়তে পারেন>> মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও চিন্তিত অপু দাস
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজিব নওশাদ পল্লব বলেন, দেশের অদম্য মেধাবীরা অর্থের অভাবে ঝড়ে পড়বে এটি মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের মেধাবীরা দেশের সম্পদ। অপু দাসের সাথে আমি কথা বলেছিলাম। তার ভর্তি হতে ২০ হাজার টাকা লাগবে। এই টাকা আমি দিয়েছি। ভর্তি পরবর্তী বই—খাতাসহ পড়াশুনার সকল খরচ আমি বহন করার চেষ্টা করবো। এছাড়াও জেলা ছাত্রলীগ পরিবার তার পাশে থাকবে।
এ প্রসঙ্গে অপু দাস বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজিব নওশাদ পল্লব ভাই আমার ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছেন এবং ভর্তির জন্য টাকা দিয়েছেন। তার এই অবদান আমি কোনোদিন ভুলব না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব, সহ—সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত তরুন, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সহ—সভাপতি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ, পৌর ছাত্রলীগের সদস্য সাকি জাওয়াদ, ছাত্রলীগ নেতা আসাদুর রহমান আসাদ, আবির হাসান অনিক, বাবলু শেখ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, অপু দাস উত্তীর্ণ হয়েছেন এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায়। ৭৫ নম্বর পেয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। অপু দাস ছোট বেলা হতেই পড়া—লেখায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। স্থানীয় ঋষি পল্লীর ব্র্যাক সেন্টার হতে ৫ম শ্রেণি পাশ করে মণিরামপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ২০২০ সালে এসএসসি ও ২০২২ সালে এইসএসসি’তে জিপিএ—৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। চলতি ২০২৩—২৪ শিক্ষা বর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ৭৫ নম্বর পেয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।