নিজস্ব প্রতিবেদক : বহু আলোচিত কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় আরো একটি চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। এবার তিনিসহ ৭ সঙ্গীর বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন যশোর সদর উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের গোলাম মোস্তফা।
এই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে মাহবুবুল আলম বিদ্যুৎ (৪০) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে গতকাল শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আটক মাহবুবুল আলম বিদ্যুৎ সদর উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামের মধ্যপাড়ার আশরাফুল আলমের ছেলে। গোলাম মোস্তফা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি সদর উপজেলার মোবারককাটি গ্রামে একটি পুকুরসহ জমি ক্রয় করে মাছের ঘের করেছিলেন। জাহিদ হোসেন মিলনের নেতৃত্বে অন্যরা দীর্ঘদিন ধরে তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিল। তিনি চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে খুন জখমের হুমকি দেয়া হয়।
<<আরও পড়তে পারেন>> কাউন্সিলর ‘টাক মিলন’কে যুবলীগ থেকে বহিস্কার
২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট কাউন্সিলর মিলনের নেতৃত্বে অন্য আসামি তার ঘেরে আসেন। সে সময় পূর্বের দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় তাকে এলোপাতাড়ি মারপিটের পর হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। অব্যাহত হত্যার হুমকি পেয়ে বাধ্য হয়ে কয়েকমাস আগে যশোর শহরের পুরাতনকসবা কাজীপাড়া কাঁঠালতলায় গিয়ে জাহিদ হোসেন মিলনের বাড়িতে বসে চাঁদা স্বরূপ ৫০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু তারপরও পূর্বের দাবিকৃত দুই লাখ টাকা না দিলে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। এই ঘটনায় তিনি কোতয়ালি থানায় কাউন্সিলর মিলনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন।
পুলিশ অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করে ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বাড়ি থেকে এই মামলার সন্দেহজনক আসামি মাহবুবুল আলম বিদ্যুৎকে আটক করে।
এদিকে এই মামলার অন্য আসামিদের আটকের ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই তাপস কুমার আঢ্য জানিয়েছেন, আসামি আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপাতত তিনি অন্য আসামিদের নাম পরিচয় জানাতে রাজিন হননি।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ৩ সঙ্গীসহ কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলনকে পুলিশ পালবাড়ি কাঁচা বাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে মদ খাওয়া অবস্থায় আটক করেছিল। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে পুলিশ। এছাড়া মিলন হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি।