সমাজের কথা ডেস্ক : জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী খালিদকে গোপালগঞ্জ শহরের গেটপাড়া পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে কবরস্থানে তার মা—বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
দাফনের আগে বাদ জোহর গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদের পাশে এস এম মডেল সরকারি বিদ্যালয়ের মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্বজনদের সঙ্গে ভক্ত—শুভানুধ্যায়ী, গীতিকার, সুরকারসহ বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন অংশ নেন।
সোমবার রাতে রাজধানীর কমফোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে রাত ১১টায় গ্রিন রোড জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল দিবাগত রাত ৩টার দিকে খালিদের মরদেহবাহী গাড়ি গোপালগঞ্জে পৌঁছায়।
১৯৬৫ সালের ১ আগস্ট গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন খালিদ। ১৯৮১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। সেখান থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন। ১৯৮১ সালে গানের জগতে যাত্রা করেন। ১৯৮৩ সালে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন।
১৯৮৭ সালে সারগাম থেকে প্রকাশিত ‘চাইম’ এর প্রথম অ্যালবাম (সেলফ টাইটেলড) দিয়ে যাত্রা শুরু তার। চাইমের ব্যান্ড অ্যালবামের চেয়ে খালিদ জনপ্রিয় হয়ে যান ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম দিয়ে। মূলত খালিদ তার জনপ্রিয়তা ধরে রাখেন ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম দিয়ে।
বাংলা ব্যান্ড সংগীতের আরেক তারকা প্রিন্স মাহমুদের ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবামগুলোতে খালিদ তার গান দিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। প্রিন্স মাহমুদের অ্যালবামগুলোর মধ্যে খালিদের গাওয়া ‘কিভাবে কাঁদাবে’, ‘আবার দেখা হবে’, ‘নীরা’, ‘আকাশনীলা’, ‘কোন কারণেই’, ‘হয়নি যাবার বেলা’ শ্রোতা মহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।