আল্লাহ তায়ালা মানুষকে যত নিয়ামত দান করেছেন সেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি নিয়ামত হলো, কথা বলার শক্তি, মনের গভীরে গচ্ছিত ভাব ও ভাবনা প্রকাশ করার শক্তি। এ শক্তির মাধ্যমে মানুষ তার প্রয়োজন ও চাহিদা অন্যের কাছে তুলে ধরতে পারে।
<<আরও পড়তে পারেন>> যেভাবে হজ করলে হতে পারে জেল—জরিমানা
পরস্পরে মতবিনিময় করতে পারে। মনের ইচ্ছা ও আবেগ, চিন্তা ও চেতনা সুস্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে। এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন, ‘পরম দয়াময় তিনি, যিনি কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন। মানবজাতিকে তিনি সৃষ্টি করেছেন ও বয়ান তথা বর্ণনা করার জ্ঞান দান করেছেন।’ (সূরা : আর-রাহমান, আয়াত : ১-৪)
বর্ণনা শক্তির আরেক নাম ভাষা। ভাষা একটি নয় অসংখ্য। পৃথিবীর একেক দেশের একেক অঞ্চলের মানুষ একেক ভাষায় কথা বলে। এর কোনোটিই মানুষের তৈরি নয়, বরং তা আল্লাহর অপার কুদরতের নিদর্শন। পবিত্র কুরআন মজিদে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাঁর নিদর্শনগুলোর মধ্যে রয়েছে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বিভিন্নতা।’ (সূরা আর রুম : ২২)