নিজস্ব প্রতিবেদক :
যশোরে সিপাহী-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত হয়েছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের উদ্যোগে সোমবার (৭ নভেম্বর ২০২২) সকালে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে এ দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান আলোচক জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বলেন, ৭৫ সালের এই সময়ে সেনা কর্মকর্তারা যখন ক্ষমতা দখল করার জন্য অস্ত্র নিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হয়। তখন দেশে কোন সরকার ছিল না। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ে। আর তখন বীর মুক্তিযোদ্ধা । পঁচাত্তরের সালের ৭ নভেম্বর জাসদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে মুক্তিযুদ্ধচালাকালিন ১১ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃত্বে সংগঠিত হয় সিপাহী জনতার গণ অভ্যুত্থান। ওইদিনে ১২ দফা দাবি নিয়ে ঢাকায় সেনাছাউনী থেকে সিপাহীরা বিদ্রোহ করে বেরিয়ে আসে এবং জনতা সেই অভ্যুত্থানে যোগ দেয়। এই যুগান্তকারী ঘটনায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দেয়। কিন্তু প্রতিবিপ্লবী রাজনৈতিক শক্তির অপতৎপরতা এবং জেনারেল জিয়াউর রহমানের বিশ্বাস ঘাতকতা সমস্ত ঘটনাপ্রবাহকে বদলে দেয়। তিনি বলেন, জেনারেল জিয়াউর রহমান সৈনিক-জনতার উত্থাপিত দাবিকে পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিগত ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেন এবং জাতিকে সামরিক শাসনের মধ্যে ঠেলে দেন। তিনি ও তার দল বিএনপি ৭ নভেম্বরের ইতিহাস বিকৃত করে তাদের শাসন আমলে মুক্তিযুদ্ধের সকল অর্জনকে ধ্বংস করেছিলেন। কিন্তু ইতিহাস বিকৃত করে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জাসদের সহ-সভাপতি আহসানউল্লাহ ময়না। আলোচনা করেন জেলা কমিটির সহসভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা রশিদুর রহমান রশিদ, সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. অশোক কুমার রায়, শরীফ আমীন মানিক, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবুল কায়েস, পৌর জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবর, তথ্য ও জনযোগাযোগ সম্পাদক আবুল বাসার মুকুল, জাসদ নেতা মতিউর রহমান পপি প্রমুখ।