মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরের সমাজসেবা অধিদপ্তরে তথ্য নিতে যাওয়া সাংবাদিকদের আটকে রেখে মারধরের ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
সোমবার সাংবাদিকদের সাথে এক বৈঠকে ‘এ ঘটনাকে দুঃখজনক’ উল্লেখ করে জেলার ডিসি মুনসুর আলম খাঁন বলেন, বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ের নজরে এসেছে। সাংবাদিক নির্যাতন ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
“অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত।”
গত রোববার তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের প্রশিক্ষণের টাকা আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন দুনীতির বিষয়ে মেহেরপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদেরের বক্তব্য নিতে তার সরকারি অফিসে যান একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদকসহ কয়েকজন।
এ সময় অফিসে আটকে রেখে ওই অফিসের তিনজন স্টফ তাদের মারধর করেন এবং ভিডিও ক্যামেরা ভেঙে দেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
পরে অন্য সাংবাদিকরাসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করে আনেন।
মেহেরপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের প্রশিক্ষণের অর্থআত্মসাৎ ছাড়াও শিশু পরিবারের কোটি টাকা আসবাবপত্র কেনায় দুর্নীতি এবং সপ্তাহের বেশির ভাগ সময় সরকারি গাড়ি নিয়ে অন্য জেলায় অবস্থান করার অভিযোগ খতিয়ে দেখছিলেন ওই সাংবাদিকরা।
মেহেরপুর পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী জানান, পুলিশও এ সম্পর্কিত গোয়েন্দ রিপোর্ট উচ্চপর্যায়ে পাঠিয়েছে।
“ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিক আবু আক্তার করণের দায়ের করা অভিযোগ পুলিশ জিডি হিসাবে গ্রহণ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে অভিযুক্ত ডিডিকে দ্রুত অপসারণ এবং শাস্তি না দিলে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।