বাগেরহাট প্রতিনিধি ॥ ৬৫ দিনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গভীর সমুদ্্র থেকে মাছ আহরণ করায় বাগেরহাটে দুই ট্রলার জব্দ ও মালিককে ৭দিনের কারাদ- এবং ৫ আড়ৎদারকে জরিমানা করা হয়েছে। রোববার ভোর ৫টা থেকে পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ।
বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাব্বেরুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম রাসেল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুকাইয়া বিনতে কাশেম ও সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস আনসারী এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
বাগেরহাট শহরের কেবিবাজার ও বাজার সংলগ্ন ভৈরব নদীতে অভিযান চালিয়ে এমভি বশির ও এমভি রাসেল নামের দুটি ট্রলার জব্দ, ট্রলার দুটির মালিক বরগুনা জেলার পাথর ঘাটার কামরুল হাসান মিরাজ ও বাগেরহাট সদরের সুন্দরঘোনা এলাকার আলামিনকে আটক করে ৭দিনের কারাদ- প্রদান করা হয়। এ সময় ট্রলারে থাকা মাছ ৬০ হাজার টাকায় নিলাম বিক্রি করা হয়।
এছাড়া কেবি বাজারের মো. ইস্রাফিল সরদার, আব্দুল মান্নান, মিরাজ হোসেন, আব্দুস সালাম ও হাফিজুল সরদারসহ ৫জন আড়ৎদারকে দুই হাজার টাকা করে ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া একটি ট্রলারে আন্তর্জাতিকভাবে আহরণ নিষিদ্ধ হাঙ্গর মাছের বেশ কিছু পোনা পাওয়া যাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত নির্দেশ দেন- নিষেধাজ্ঞা চলাকালিন ২৩ জুলাই পর্যন্ত কেবি ঘাটে কোন সামুদ্রিক যান নোঙ্গর করতে বা ভিড়তে পারবেনা। এ আদেশ অমান্য হলে কেবি বাজারের আড়ৎদারদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে সর্তক করা হয়।