সমাজের ক্থা ডেস্ক : জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির মামলায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক রিপন উদ্দিন এ চার্জশিট দাখিল করেন।আজ ৩ ডিসেম্বর বাড্ডা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক রণপ কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে ২২ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, ডা. সাবরিনার সঠিক জন্ম তারিখ ১৯৭৬ সালের ২ ডিসেম্বর । ২০১৬ সালে দ্বিতীয় এনআইডিতে তিনি ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর জন্ম তারিখ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দেন। তিনি ১৯৯১ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর ২০০০ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করেন এমবিবিএস। ১৯৮৩ সালে জন্ম তারিখ ধরলে তিনি মাত্র আট বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছরে এমবিবিএস পাস করেন, যা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বয়স কমিয়ে জালিয়াতির উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় টিআইএন নম্বর প্রাপ্ত হয়েছেন এবং প্রতারণামূলকভাবে দ্বিতীয় এনআইডি খাঁটি দলিল হিসেবে তার অফিসে এইচআরআইএস এ ব্যবহার করে পিআরএলের সময় বৃদ্ধি করেন। এ কাজ করে তিনি পেনাল কোডের ৪৬৫/৪৬৮/৪৭১ ধারায় অপরাধ করেছেন।
২০২০ সালের ৩০ আগস্ট ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া।
মামলা্র অভিযোগে বলা হয়, বর্তমানে সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ডই সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি জানার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে ভোটার হন । একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর, অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।
সাবরিনাএ মামলায় ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর জামিন পান ।
তবে ১৯ জুলাই করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আসামিকে পৃথক তিন ধারায় ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে এ মামলায় সাবরিনা কারাগারে রয়েছেন ।