লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি॥ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের চরমাওলী গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নুর ইসলাম মোল্যা (৩৮)কে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
স্থানীয় সুত্রে যায়, দিঘলিয়া ইউনিয়নের চর মাউলি গ্রামের জাকির হোসেন মোল্যর ছেলে নুর ইসলাম মোল্যা নড়াইল শহর থেকে গ্রামের বাড়ি চর মাউলি যাচ্ছিলেন। চর মাউলি গ্রামের জসিম মোল্যার বাড়ির নিকট পৌছালে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
আহত নুর ইসলাম জানান, নড়াইল শহর থেকে আমার গ্রামের বাড়ি চর মাউলি গ্রামে যাচ্ছিলাম। চর মাউলি পশ্চিমপাড়া জসিম মোল্যার বাড়ির নিকট পৌছালে পথিমধ্যে গাড়ির গতিরোধ করে লুটিয়া গ্রামের ফিরোজ শেখ, রবিউল মোল্যা, রিয়াদ মোল্যা, চর দিঘলিয়া গ্রামের সোহাগ মোল্যা, রমজান মোল্যা, তরিকুল মোল্যা, লুটিয়া গ্রামের ছিকু মোল্যা, কুমড়ি গ্রামের জামাল সর্দার সহ ১০/১২ জন আমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। সেই সাথে মাথায় কুপিয়ে জখম করে। তিনি আরও বলেন আমার মোটরসাইকেল ভাংচুর করে কাছে থাকা ১৬ হাজার ৮শত টাকা ও ২ টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। চর মাউলি গ্রামের লিপন সর্দার বলেন, কয়েকজন নুর ইসলাম মোল্যাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করছিল। আমি এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। একই গ্রামের নাজমুল বলেন, আমি খবর শুনে এসেছি এবং শুনেছি তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে, আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ফিরোজ শেখ বলেন ওই ঘটনার আগে থেকেই আমি ঢাকায় আছি এলাকায় প্রতিপক্ষ থাকায় আমাকে মিথ্যা ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে এবং আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তদন্তপূর্বক দোষীদের শাস্তির দাবি করছি। এবিষয়ে, লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার শেখ আবু হেনা মিলন বলেন লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।