শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী থাকা জরুরী। এতে আমাদের চুল, ত্বক ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। যারা আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত শীতকালে তাদের তাদের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় জয়েন্ট পেইনও বেড়ে যায় তাদের। সেইসঙ্গে বেড়ে যায় চুলের রুক্ষতা, ত্বকের শুষ্কতা, ত্বকে চুলকানি ইত্যাদী ।
কিছু খাবার আছে যা শীতকালে শরীরের জন্য খুবই উপকারি। সেগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী শরীরে সঠিক পুষ্টি পৌঁছে দেয়। এ জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে সঠিক খাবার খাওয়া খুবই জরুরি।
খাঁটি ঘি : খাঁটি ঘি শরীরকে দ্রুত শক্তি ও তাপ দেয়। এ জন্য শরীর সহজেই উষ্ণ হয়। পরিমিত ঘি খেলে ত্বকও শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা পায়। এজন্য রান্নায় নিয়মিত ঘি ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া ভাত, রুটি, পরোটা, পোলাও, খিচুড়ি ইত্যাদির সঙ্গেও ঘি খেতে পারেন।
গুড় : চিনির বিকল্প এই খাবার বেশ উপকারি। রক্তস্বল্পতায় গুড় সমান কার্যকরী কারণ এতে থাকে প্রচুর আয়রন। শীতের সময়ে আয়রনের মাত্রা পর্যাপ্ত রাখতে গুড় খাওয়া জরুরী। গুড় খেলে আমাদের ফুসফুসও পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।
মিষ্টি আলু : মিষ্টি আলু হলো শীতের অন্যতম জনপ্রিয় সবজি। এতে আছে প্রচুর পটাশিয়াম, ফাইবার এবং ভিটামিন এ । মিষ্টি আলু নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা ছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের প্রদাহ কমাতে ভুমিকা রাখে।
খেজুর : খেজুর একটি । এই ফল বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি খাবার তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়। খেজুর খেলে পাওয়া যায় অনেক উপকারিতা । বিশেষ করে বাতের রোগীদের জন্য এটি বেশ কার্যকরী। খেজুরে আছে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার । এটি হাড় ও দাঁত ভালো রাখতেও কাজ করে। হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।
আমলকি : আমলকি পুষ্টিগুণে ঠাসা । এতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণকে দূরে রাখে। এজন্য খেতে পারেন আমলকির মোরব্বা, আচার, ক্যান্ডি, চাটনি, জুস। তবে কাঁচা আমলকি সামান্য লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন।