নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে ৮দিনব্যাপী বইমেলা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে যশোরের ঐতিহাসিক টাউনহল ময়দানে আয়োজিত এ মেলার উদ্বোধন করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, একজন মানুষকে প্রকৃত মানুষ হতে হলে তাকে শিল্প সাহিত্য চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদের সমাজে শুধু ডাক্তার- বিজ্ঞানী তৈরি হলে হবে না। এসব ডিগ্রিধারী মানুষ একসময় অমানুষ হয়ে যায়; যদি না তাদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ তৈরি না হয়। তাই মানবিক মূল্যবোধের মানুষ বেশি বেশি গড়ে তুলতে হবে। একজন শিক্ষক হিসেবে আজ আমার ভালোলাগছে যশোরের মতো জায়গায় আমার হাতে বইমেলার উদ্বোধন হচ্ছে। আমরা চাই নতুন প্রজন্ম ও শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরিতে যাক। কিন্তু এই প্রজন্মে কেন জানি বইবিমুখ হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থান থেকে আমাদের নতুন প্রজন্মকে ফিরিয়ে আনতে হবে। এইযে নতুন প্রজন্ম বইবিমুখ হয়ে স্কিনমুখী হচ্ছে; এটা কিন্তু মাদকাসক্তের মতো ভয়াবহ। এখান থেকে আমাদের সšত্মানদের ফিরিয়ে আনতে হবে। এসবের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন মেলা, বইমেলা কার্যকরী ব্যবস্থা। এসব মেলায় আমাদের সšত্মানদের হাত ধরে আনতে হবে। বিভিন্ন সাহিত্য চর্চার বই কিনে দিতে হবে। একাডেমির বাইরেও জ্ঞান চর্চায় আগ্রহ সৃষ্টি করাতে হবে।
জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোখলেচুর রহমান আকন্দ, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর যশোরের বিএলএফের উপপ্রধান মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রবিউল আলম, যশোর ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু, জেলা শিক্ষা অফিসার এ কে এম গোলাম আজম। আলোচনা শেষে যশোরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ পু¯ত্মক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহযোগিতায় সারাদেশে ৯টি জেলায় পর্যায়ক্রমে এ বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যশোরে সাত দিনব্যাপী বই মেলাশেষ হবে ১৩ ডিসেম্বর। এবার মেলায় ৬২টি বইয়ের স্টল রয়েছে। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যšত্ম মেলা চলবে। বইমেলা উপলক্ষে প্রতিদিন বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণ রওশন আলী মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।