মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে ও রা¯ত্মার মোড়ে মোড়ে সৌর সড়ক বাতি থাকলেও তা কোন কাজে আসছে না । কোটি টাকা ব্যায়ে স্থপিত সোলার প্যালেনের ৮০ শতাংশই নষ্ট ও অকেজো হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, কোথাও কোথাও সোলার থাকলেও তাতে বাতি নেই, অনেক স্থানে ল্যামপোস্টও ভেঙ্গে পড়েছে। এগুলো সংস্কার বা নিয়মিত দেখভালের কথা থাকলেও তা করা হয়না। এ জন্য তা নষ্ট হয়েগেছে। অভিযোগ উঠেছে, সড়ক গুলোতে নি¤্নমানের সৌর প্যালেনসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ সংযোজন করা হয়েছে। এতে পৌরবাসি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। অন্যদিকে লাভবান হয়েছে, সোলার কোম্পানি ।
উপজেলা প্রকল্প বা¯ত্মবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানাগেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীন অবকাটামো সংস্কার ও রড়্গণাবেড়্গণ কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্ট্রিট সোলার ও হোম সোলার স্থাপন করে। এ উপজেলায় আনুমানিক ৫শ’ স্ট্রিট সোলার ও হোম সোলার স্থাপন করা হয়। প্রতিটি ল্যাম্পপোস্টের জন্যস বরাদ্দ ছিল প্রায় ৫৬ হাজার টাকা। বিভিন্ন গুরম্নত্বপূর্ন স্থান, স্কুল, কলেজ, রা¯ত্মা, মসজিদ, মন্দির ও প্রতিষ্ঠানের সামনে পথচারীদের সুবিধার্থে ২৫, ৩০ও ৫০ ওয়াটের স্ট্রিট সোলার গুলো বসানো হয়। এসব লাইট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লাগিয়ে যাওয়ার পর আর সংস্কার করা হয়নি।
এদিকে সড়ক বাতিগুলো না জ্বলায় সরকারের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা। সরকারের কোটি কোটি টাকা জলে গেছে বলে মনে করছেন স্থানীয় লোকজন।
সরজমিনে দেখাযায়, উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌর এলাকার জনবহুল ও গুরম্নত্বপূর্ন স্থানে সৌরবাতির খুঁটিগুলো দাঁড়িয়ে আছে, বাতি আছে কিন্তু তাতে আলো নেই।
স্বরম্নপপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, তার ইউনিয়নের সোলার প্যানেলে গুরম্নত্বপূর্ন ল্যাম্পপোস্টগুলোর অধিকাংশ বন্ধ রয়েছে। লাগানোর কিছুদিন পর থেকে আর লাইটগুলো জ্বলছে না। সরকারের এত টাকার সড়কবাতি ব্যবহারে কোন সুফল পাচ্ছে না সাধারন মানুষ।
এসবিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রম্যান আরিফান হাসান চৌধুরী নুথান বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের কয়েকটি বাজারসহ গুরম্নত্বপূর্ন সড়কে সোলার লাইট বসানো আছে। কিন্তু এ গুলোর অধিকাংশই এখন আর জ্বলে না, শুধু খুঁটিগুলো দাঁড়িয়ে আছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বা¯ত্মবায়ন কর্মকর্তা মেহেরম্নন নেছা বলেন, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে সোলার লাইট গুলো হয়তো নষ্ট হয়ে গেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও ইউপি চেয়ারম্যানরা তাদের ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সোলার লাইট লাগিয়েছেন, যা আমাদের দেখার বিষয় না।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক আজা বলেন, ‘কম দামের সোলার প্যানেল বসালে তো নষ্ট হবেই। দাম দিয়ে ভাল জিনিস কিনলে নষ্ট হতো না। আজ শুধু পৌর এলাকা না মহেশপুরের অধিকাংশ সোলার প্যানেলগুলো নষ্ট হয়ে পড়ে পড়ে রয়েছে। কে দেখবে বা কে মেরামত করবে আমরা তার কিছুই জানি না।