নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী বুনো আসাদকে হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। নিহত বুনো আসাদের ভাই সাহিদুর রহমান বাদী হয়ে সোমবার ৭জনেরবুনো আসাদকে হত্যার অভিযোগে ৭ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছেন। আসামিদের মধ্যে একজন পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও আরেকজন মন্দির কমিটির সভাপতি রয়েছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল এই ঘটনায় থানায় আর কোন মামলা হয়েছে কিনা তা জানিয়ে আগামী সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, শহরের নাজির শংকরপুর মাঠপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে হাসান ওরফে খাবড়ি হাসান, বেজপাড়া বনানী রোডের আক্কাসের ছেলে চঞ্চল, খোকনের ছেলে আকাশ, খাইরুল মিয়ার ছেলে লিপন, বিশ্বজিৎ মুখার্জীর ছেলে ইন্দ্রজিৎ মুখার্জী ওরফে উপল মুখার্জী এবং চাঁচড়া রায়পাড়ার বিপস্নব।
এর মধ্যে আসামি লিপন বেজপাড়া বনানী রোডের পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ইন্দ্রজিৎ মুখার্জী পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি বলে জানা গেছে।
বাদী সাহিদুর রহমান মামলায় উলেস্নখ করেছেন, গত ৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওষুধ কেনার জন্য নাজির শংকরপুর সাদেক দারোগার মোড়ের নুরম্নন্নাহার হোমিও হলে যান আসাদ। পূর্ব শত্রম্নতার জের ধরে ওই সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা তার ওপর হামলা চালায়। আসামিদের মধ্যে খাবড়ি হাসান বার্মিজ চাকু দিয়ে আসাদের বুকে আঘাত করলে গুরম্নতর জখম হয়। অন্য আসামিরা এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে পকেটে থাকা ১২ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। আসাদকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার অবস্থা অবনতি হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২১ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এর আগে ৮ নভেম্বর রাতে খাবড়ি হাসান, চঞ্চল, আকাশ ও বিপস্নবের বিরম্নদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন তার ভাই সাহিদুর রহমান। গত ২১ নভেম্বর আসাদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাবার পর সাহিদুর রহমান বিভিন্নভাবে জানতে পারেন, হামলার সময় সেখানে আসামি লিপন ও সুমন উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের হুকুমে আসামি খাবড়ি হাসান ছুরিকাঘাত করেন। এছাড়া এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আসামি ইন্দ্রজিৎ মুখার্জী।