নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা দরকার। যাতে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বা¯ত্মব রূপ পায়। জনগণ উন্নয়ন চায়, তাই তারা প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। জনগণের সমর্থনহারা বিএনপি জামায়াত অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে উন্নয়ন বাধাগ্র¯ত্ম করার ষড়যন্ত্র চালা”েছ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দড়াটানা ভৈরব চত্বরে জেলা কৃষকলীগের প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন ।
বিজয়ের মাসে ‘যুদ্ধাপরাধী, আগুন-সন্ত্রাসী জামায়াত-বিএনপির বিশৃঙ্খল তৎপরতার’ বিরম্নদ্ধে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পুরো জীবনটা সংগ্রামে কাটিয়েছেন। ভারত-পাকি¯ত্মান যেদিন ভাগ হয়েছিল, সেদিনই বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন, পাকি¯ত্মান বাঙালিদের জন্য নয়। আমাদের প্রয়োজন একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের। বঙ্গবন্ধু জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো জেলে কাটিয়েছেন, দেশ স্বাধীন করেছেন। আর আজ বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নকে নষ্ট করতে দেশে আগুন-সন্ত্রাস করছে বিএনপি-জামায়াতে। তাদেরকে প্রতিহত করতে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি বলেছেন, বিএনপি যেভাবে হুমকি-ধামকি দি”েছ, তাতে মনে হয় রাজপথ আমরা ভুলে গেছি। আমরাও আছি। আন্দোলন বা কর্মসূচির নামে আগুন সন্ত্রাস করলে দেখতে পাবেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। আওয়ামী লীগ যখন মাঠে নামবে, বিএনপি কর্পূরের মতো উড়ে যাবে। কারণ পালানোর ইতিহাস বিএনপির আছে, আওয়ামী লীগের নেই। আওয়ামী লীগ বুকের তাজা রক্ত দেয়ার দল। আওয়ামী লীগ রাজপথ থেকে ক্ষমতায় এসেছে। আপনাদের মতো সারা বাংলাদেশ কুড়িয়ে খুলনায় ২০হাজার লোক নিয়ে গণসমাবেশ করি না। আওয়ামী লীগ ডাক দিলেই জনসমুদ্রে পরিণত হয়। তার প্রমাণ ২৪ নভেম্বর সারা বাংলা দেখেছে।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশে বিএনপির কোনো লোক যেনো ঢাকা যেতে না পারে সেদিকে লড়্গ্য রাখবেন। যুবলীগ, স্বে”ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীরা এই কদিন ট্রেন ও বাসস্ট্যান্ডে পাহারা দিবেন; যাতে বিএনপি বোমা নিয়ে ঢাকায় যেতে না পারে।
যশোর কৃষকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী বাহাউদ্দীন ইকবালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মীর জহুরম্নল ইসলাম, সদর উপজেলা সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, শ্রমিকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েল, সাবেক ছাত্রলীগনেতা রওশন ইকবাল শাহী প্রমুখ। কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় উপ¯ি’ত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল কাদের, দপ্তর সম্পাদক মজিবুদ্দৌলা কনক, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমান, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এ এস এম আশিফুদ্দৌলা প্রমুখ।