নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যশোর মুক্ত দিবস উদযাপিত হয়েছে। এছাড়া মণিরামপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে মণিরামপুরে ও কলারোয়া মুক্ত দিবস উপলড়্গে কলারোয়ায় কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় টাউন হল ময়দানে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে যশোর মুক্ত দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে শহরের বকুলতলায় বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে বেলুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, যুদ্ধকালীন বৃহত্তর যশোর জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধান মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন মনি, উপ প্রধান মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যশোর ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মুযহারম্নল ইসলাম মন্টু, মুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ-দ্দৌলা প্রমুখ।
পরে বর্ণাঢ্য একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরম্নত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান, স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন আলোচনা সভার আয়োজন করে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকি¯ত্মানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয়েছিল দেশের প্রাচীনতম এই জেলা। সর্বাত¥ক এক যুদ্ধের পর ৬ ডিসেম্বর দুপুরের পরপরই যশোর ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে পালিয়ে যায় পাক হানাদাররা। আর এর মাধ্যমেই দেশের প্রথম জেলা হিসেবে শত্রম্নমুক্ত হয় যশোর।
নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর থেকে জানিয়েছেন, র্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে যশোরের মনিরামপুরে যশোর মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কবীর হোসেন পলাশ। তরম্নণ হালদার বাপনের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম, সহকারি কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, ওসি শেখ মনিরম্নজ্জামান, বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম রসুল, বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল হামিদ প্রমুখ। এরআগে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে একটি র্যালি পৌরশহরের গুরম্নত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
কলারোয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ‘কলারোয়া পাক হানাদার মুক্ত’ দিবস পালিত হয়েছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড আয়োজিত পাক হানাদার বাহিনী মুক্ত এই দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক সুখী-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার দৃপ্ত প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ’র প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রম্নলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন থানার অফিসার ইনচার্জ নাসিরউদ্দিন মৃধা, মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফ্ফার, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মো¯ত্মফা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার আব্দুর রউফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু দাউদ, করারোয়া পাবলিক ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শেখ কামাল রেজা, কলারোয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ জুলফিকারম্নজ্জামান জিল্লু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক রাশেদুল হাসান কামরম্নল, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্হামান আসাদ, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম লিটন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গ। এর আগে দিবসের সূচনায় সকাল ৮ টায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সকাল ১০ টায় একাত্তরের বেশে মুক্তিযোদ্ধা-জনতার বিজয় শোভাযাত্রা বের হয়।