চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় ‘পরিবারের কেউ সংস্পর্শে না আসায়’ গলায় ফাঁস দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক (৫০) নামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগী আত্মহত্যা করেছেন।
মৃত আব্দুর রাজ্জাক উপজেলার জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের গড়গড়ি গ্রামের মো. শাহাজুদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।
ওই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাসিবুল হোসেন জানান, রাজ্জাক কিছুদিন ধরে জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। গত ১৬ জুন র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
এরপর তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন।
বাড়িতে আলাদা ঘরে রাখায় এবং তার সংস্পর্শে কেউ না আসায় পরিবারের সদস্যদের উপর অভিমান করে রোববার সকালে রাজ্জাক আত্মহত্যা করেন বলে জানান হাসিবুল।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাতেহ আকরাম জানান, হাসপাতালের যেসব কোভিড রোগী ঝুঁকিমুক্ত থাকেন তাদের বাড়িতে আইসোলেশনে পাঠানো হয়।
“আব্দুর রাজ্জাকের শারীরিক অবস্থা তুললামূলক ভালো থাকায় তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল।”
আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবির বেলেন, রাজ্জাক বাড়িতে আসার পর পরিবারের সদস্যরা তার সংস্পর্শে না গিয়ে দূরে থেকে তাকে খাবার এবং যা প্রয়োজন দিচ্ছিলেন। এতে আব্দুর রাজ্জাক মনকষ্টে ভুগছিলেন।”
“ধারণা করা হচ্ছে, পরিবারের সদস্যরা তাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন এই অভিমানে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।”
এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানার একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।