নিজস্ব প্রতিবেদক : ৫১তম শীতকালীন জাতীয় স্কুল মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের জমকালো উদ্বোধন হয়েছে যশোরে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
জাতীয় এ প্রতিযোগিতাকে ঘিরে উৎসবের শহরে পরিনত হয়েছে যশোর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল রঙ্গে রঙিন।
আকাশী রঙের ড্রেস আর লাল ও সবুজ ক্যাপ মাথায় কয়েক হাজার শিড়্গার্থী ছিলো গ্যালারীতে।
তাদের সাথে ছিলেন শিক্ষকরাও। কেউ আবার উৎসবকে মাতিয়ে তুলতে রঙিন শাড়ি ও বাহারি রঙের ফুলে নিজেকে সাজিয়ে জানান দেয় ‘নানা রংের ফুলের মেলা, খেজুর গুড়ের যশোর জেলা।’
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় যশোর শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামে বেলুন উড়িয়ে ৬ দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এরপর অলিম্পিক মশাল প্রজ্বালন, সুশৃঙ্খল প্যারেড, স্কুল শাখার ছাত্রীদের মনোজ্ঞ ডিসপেস্ন অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চমৎকার ক্রীড়া নৈপূণ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে সকলকে মুগ্ধ করে তোলে।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাথে এক ফ্রেমে বন্ধি হতে ভিড় জমায় শিড়্গার্থীরা। শিক্ষামন্ত্রীও শিড়্গার্থীদের ডাকে সাড়া দেন। তিনি একে একে সকলের পাশে বসিয়ে সেলফি তোলেন। পাশাপাশি শিশু শিড়্গার্থীদেরও কোলে তুলে আদর করেন শিড়্গামন্ত্রী।
অভিভাবকরা বলেন, যশোরের শিড়্গামন্ত্রী আগমনের কথা শুনে সকাল সকাল ছেলে-মেয়েদের নিয়ে স্টেডিয়ামে এসেছি। শিড়্গার্থীতে স্টেডিয়ামে কাণায় কাণায় ভোরে গেছে। মন্ত্রীর সাথে শিড়্গার্থীরা ছবি তুলতে চাইলে; আদর করে তাদের সাথে ছবি তোলেন ড.দীপু মনি। আমরা এই ছবিগুলো স্মৃতি হিসেবে বাধাই করে রাখবো।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড যশোরের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব জানান, পদ্ম, গোলাপ, বকুল ও চাঁপা এই চারটি অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগীদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ময়মনসিংহ ও ঢাকা অঞ্চলকে নিয়ে গঠিত পদ্ম।
রাজশাহী ও দিনাজপুর অঞ্চলকে নিয়ে গঠিত চাঁপা। সিলেট, চট্টগ্রাম ও কুমিলস্না এই অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছে বকুল। বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের নিয়ে গঠিত গোলাপ।
শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে অ্যাথলেটিকস্’র পাশাপাশি হকি ও সাইক্লিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। নাদিরা ইসলাম স্মৃতি ইনডোর ভলিবল গ্রাউন্ডে ভলিবল, বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে বাস্কেটবল, জিমনেসিয়ামে ব্যাডমিন্টন ও টেবিল টেনিস অনুষ্ঠিত হবে।
ছাত্রী ক্রিকেট শামস্-উল হুদা ফুটবল একাডেমি মাঠে ও ছাত্র ক্রিকেট প্রতিযোগিতা উপশহর কেন্দ্রীয় ক্রীড়া উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিযোগিতার ৫১তম আসর চলবে মঙ্গলবার পর্যšত্ম। ৬দিন ব্যাপী শুরম্ন হওয়া ৮টি ইভেন্টে ৮২৪ জন ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ করবে।
এর মধ্যে ছাত্র ৪৪০জন ও ছাত্রী ৩৮৪ জন। অ্যাথলেটিক্স, ছাত্র ও ছাত্রীদের ভলিবল, বাস্কেটবল, হকি, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস ও সাইক্লিং ইভেন্ট রয়েছে। অ্যাথলেটিক্সে সবচেয়ে বেশি ৩৪৪ জন অংশ গ্রহণ করবে।
এর আগে বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে ও যশোর শিক্ষা বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় চারদিন মাঠের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে যশোরের ৬টি মাঠ।
জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ, দ্বিতীয় হওয়া প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার ও তৃতীয় প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। এছাড়া বিজয়ী প্রতিযোগীদের ট্রফি, মেডেল, প্রাইজবন্ড ও সনদপত্র প্রদান করা হবে।