১৮ই মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নবীজির সঙ্গে জান্নাতে থাকার উপায়
নবীজির সঙ্গে জান্নাতে থাকার উপায়

মুমিন মুসলমান হিসেবে সবাই জান্নাতে নবীজির সঙ্গলাভ করতে চায়। এর চেয়ে বড় চাওয়া আর কী হতে পারে? এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী থাকতে পারে? হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রবিয়া আবনে কাব আসলামি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘আমি কখনো কখনো রাতে নবীজির সঙ্গে থাকতাম। এক রাতে আমি তার জন্য অজু-ইস্তেঞ্জার পানির ব্যবস্থা করলাম। তিনি খুশি হয়ে বললেন, হে রবিয়া! তুমি যা খুশি চাইতে পারো।

 

রবিয়া বলেন, তখন আমি বললাম, জান্নাতে আপনার সঙ্গে থাকতে চাই। নবীজি বললেন, আর কী চাও? এবারও রবিয়ার একই উত্তর। তিনি বলেন, আমার ওই একটাই চাওয়া। এ কথা শুনে নবীজি বললেন, তাহলে ‘কাসরাতুস সুজুদ’ তথা বেশি বেশি নফল নামাজের মাধ্যমে আমাকে এ বিষয়ে সাহায্য করো।’ (সহিহ মুসলিম : ৪৮৯)
মুমিনের চাওয়াও ওই একটাই। সাহাবিদের চাওয়াও ছিল এটি।

 

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) একদিন (নফল) নামাজ পড়ছিলেন। তখন নবীজি এলেন। সেখানে হজরত আবু বকর (রা.) ও হজরত ওমর (রা.)-ও ছিলেন। একপর্যায়ে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) দোয়া করতে আরম্ভ করলেন। তখন নবীজি দূর থেকেই বললেন, ইবনে মাসউদ! চাও, তুমি যা চাইবে তোমাকে দেওয়া হবে। তখন তিনি যে দোয়াগুলো করছিলেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এমন ইমান চাই, যার পর কুফরের দিকে প্রত্যাবর্তন নেই। এমন নেয়ামত চাই, যা ফুরাবার নয়। আর চাই, জান্নাতে তোমার নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গ।

হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) তো নিজে থেকেই এ দোয়া করেছেন। ‘ইবনে মাসউদ! চাও, তুমি যা চাইবে তোমাকে দেওয়া হবে’ নবীজির এ বাক্য তো তিনি শোনেননি। ফলে হজরত ওমর (রা.) এ সুসংবাদ দেওয়ার জন্য তার কাছে গেলেন। গিয়ে দেখলেন হজরত আবু বকর (রা.) আগেই সেখানে পৌঁছে গেছেন। বললেন, আপনি তো ভালো কাজেই আগে থাকেন! (মুসনাদে আহমাদ : ২৫৫) কোনো কোনো বর্ণনায় আছে, হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমার অধিকাংশ দোয়াতেই আমি এ বাক্যগুলো দ্বারা দোয়া করি। (মুসনাদে আহমাদ : ৩৬৬২)

 

এ চাওয়া তখনই বাস্তবে রূপ নেবে যখন মুমিন বেশি বেশি সিজদা তথা নফল নামাজ আদায় করবে। কারণ হাদিস শরিফে এসেছে, বান্দা যখন সিজদা করে তখন বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী হয়। তো বান্দা বেশি বেশি আল্লাহর নিকটবর্তী হলে তার মর্যাদা তো বৃদ্ধি পাবেই। আর আল্লাহ যে বান্দার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন তার গুনাহ কি বাকি রাখবেন? না, আল্লাহ তার গুনাহগুলো বাকি রাখবেন না। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘যে বান্দা বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তার গুনাহগুলো মিটিয়ে দেবেন।’

 

হজরত মাদান ইবনে আবি তালহা (রহ.) বলেন, আমি নবীজির আজাদকৃত গোলাম ছাওবান (রা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে এমন আমলের কথা বলে দিন, যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে! তিনি বলেন, অথবা আমি বলেছি, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমলের কথা বলে দিন। এভাবে তিনবার জিজ্ঞাসা করার পর তিনি বললেন, আমিও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তখন তিনি বলেছিলেন তুমি বেশি বেশি সেজদা করো। সহিহ মুসলিম
_ মুফতি হাসান আল মামুন

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email : samajerkatha@gmail.com
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram