কপিলমুনি প্রতিনিধি : ভারতে অবস্থান করেও একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষিক নিয়মিত স্বাক্ষর করছেন স্কুলের হাজিরা খাতায়। ব্যাংক হতে উত্তোলন করছেন বেতন। দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে চলছে এ কাজ। ঘটনাটি ঘটছে পাইকগাছা থানার হরিঢালী ইউনিয়ন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
অভিযোগে রয়েছে, এ প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষিক (হিন্দু ধর্ম) লিপিকা রাণী ভদ্র এক বছর যাবত ভারতে অবস্থান করছেন। তবে ভিন দেশে থাকলেও হাজিরা খাতায় সাক্ষর থাকছে নিয়মিত। এমপিও থেকে নিয়মিত বেতন উত্তোলন করছেন তিনি।
হরিঢালী ইউনিয়ন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুধাংশু কুমার মন্ডল জানান, লিপিকা রাণী ভদ্রের স্বামী ভারতে বসবাস করেন। তিনি অসুস্থ তাই সভাপতির কাছ থেকে ছুটি নিয়ে লিপিকা ভদ্র ভারতে গিয়েছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লিপিকা ভারতে অবস্থান করছেন বলেও জানান তিনি। তবে ঠিক কতদিনের ছুটি নিয়েছেন, ভারতে অবস্থান করার ক্ষেত্রে সরকারী নিয়ম অনুসরণ করে ছুটি নিয়েছেন কিনা কিংবা এই ছুটির অনুমতি প্রদানে কোন রেজুলেশন রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, লিপিকা ভদ্র আমার দায়িত্বকালিন সময়ের পূর্বেও এমন কাজ করেছেন। তৎকালীন প্রধান শিক্ষকের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সুবাদে তিনি স্কুলের কিছু টেবিল ও বেঞ্চ জরিমানা স্বরূপ প্রদান এবং প্রধান শিক্ষককে সন্তুষ্ট করে সে সময় রক্ষা পান।
এ ব্যাপারে হরিঢালী ইউনিয়ন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মুনছুর আলী সরদার পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, আমি একজন বয়স্ক মানুষ। আমাকে ভুল বুঝিয়ে ও ভুল তথ্য দিয়ে বেতন বিলের স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুধাংশু কুমার মন্ডল নিজে লিপিকার স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। আমি (সভাপতি) প্রতিষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপ—পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনা বরাবর লিখিত আবেদন করেছি।
এ বিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ ধরনের কাজ করার কোন সুযোগ নেই। আমি শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।