সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা—১ আসনে নৌকার প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপন বেসরকারি ভাবে জয়ী হয়েছেন। সাতক্ষীরা—২ (সদর) আসনে লাঙল প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশু এবং সাতক্ষীরা—৩ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. আ. ফ. ম. রুহুল হক নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সাতক্ষীরা—৪ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস এম আতাউল হক দোলন বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন।
এর আগে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনের ৬০২টি ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তবে ভোট কেন্দ্রগুলো ঘিরে প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের ভীড় পরিলক্ষিত হলেও জেলার প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলকভাবে কম।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে সাতক্ষীরা—২ ও সাতক্ষীর—৩ সংসদীয় আসনের বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও ভোটারদের কোন লাইন নেই। বিচ্ছিন্নভাবে দুইএকজন করে ভোটার কেন্দ্রে আসছেন এবং ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছেন। তবে এবার ফাঁকা ফাঁকাভাবে ভোট দিতে পেরে খুশি সাধারণ ভোটাররা।
বেলা সোয়া ১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের বড়দল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জানান, এই কেন্দ্রের ৩৮শ’ ভোটারের মধ্যে তখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭শ’ ভোট পড়েছে। সাতক্ষীরা রসুলপুর সরকারি প্রাতমিক বিদ্যালয়ে ৩ হাজার ৮৭ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে মাত্র ৭৭৭টি। এর মধ্যে একটি ভোট বাতিল হয়েছে।
এদিকে সাতক্ষীরা—২, সাতক্ষীরা—৩ এবং সাতক্ষীরা—৪ আসনের বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে কোথাও ভোটারদের লাইন দেখা যায়নি। দুইএকজন করে ভোটার এসে ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছেন। তবে ভোট কেন্দ্র গুলোর বাইরে প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদের ভীড় দেখা গেছে।
অপরদিকে সাতক্ষীরা—১ আসনের তালা উপজেলার মানিকহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একটি জাল ভোট প্রদানের ঘটনায় সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নব কুমার পাইনসহ ৩ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত অপর দুজন হলেন, পোলিং অফিসার শাহাজউদ্দিন ও পোলিং অফিসার জি এম বারাকাত হুসাইন। অভিযোগ প্রাপ্তির পর সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মঈনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পাওয়ায় তাদেরকে বহিষ্কার করেন।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, নির্বাচনের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলায় ৯জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ১৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৫ উপজেলায় সশস্ত্র বাহিনীর একটি ব্যাটালিয়ন, ১০ প¬াটুন বিজিবি, ৪ প¬াটুন র্যাব, ৭ হাজার পুলিশ ও ১৪ হাজার আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন।