সমাজের কথা ডেস্ক॥ নতুন করে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে দেশজুড়ে বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্ন। একই সঙ্গে নিজের বিয়ের আয়োজনও বাতিল করেছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, নর্থ আইল্যান্ডের অকল্যান্ডে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর উড়োজাহাজে সাউথ আইল্যান্ডের নেলসন নগরীতে ফিরে যাওয়া একটি পরিবারের আট সদস্য এবং একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের দেহে করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রামক ধরন ওমক্রিন শনাক্ত হয়। যার প্রেক্ষিতে সংক্রমণ রোধে রোববার মধ্যরাত থেকে নিউ জিল্যান্ডে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
নতুন বিধিতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক এবং জনসমাগম সীমিত করা হয়েছে।
বিবিসি জানায়, নতুন বিধিতে দোকানে এবং গণপরিবহনে মাস্ক পরতে হবে। এছাড়া, টিকা নিয়েছেন এমন সর্বোচ্চ ১০০ জন এক সঙ্গে কোনো অনুষ্ঠানে, বারে বা রেস্তোরাঁয় থাকতে পারবেন।
আর যদি কোনো অনুষ্ঠানে টিকার সনদ দেখা না হয় তবে সেখানে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২৫ জন থাকতে পারবেন।
রোববার সাংবাদিকদের নিজের বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন বাতিল করার খবরটিও নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রী অ’ডুর্ন।
তিনি বলেন, ‘‘আমার বিয়ের আয়োজন হচ্ছে না।”
নতুন বিধিনিষেধের কারণে তার মত আর যাদের বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করতে হচ্ছে তাদের জন্যও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে বিদেশিদের জন্য দুয়ার বন্ধ রেখেছে নিউ জিল্যান্ড। তারা এ বছর জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে বিদেশিদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় সেটা পিছিয়ে ফেব্রুয়ারির শেষ করা হয়েছে।
ওই সময়ে লোকজন কেবলমাত্র জরুরি প্রয়োজনে নিউ জিল্যান্ড যেতে পারতেন। সেখানে পৌঁছে তাদের অবশ্যই প্রথমে সরকার পরিচালিত কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকতে হতো। কিন্তু নিউ জিল্যান্ড সরকার গত সপ্তাহ থেকে এই সুবিধাও বন্ধ করে দিয়েছে।
নিউ জিল্যান্ড তাদের ১২ বছরের বেশি বয়সের ৯৪ শতাংশ মানুষকে টিকার দুটি ডোজই দিয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৬ শতাংশকে এখন বুস্টারডোজ দেওয়া হচ্ছে।
গত দুই বছরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সবথেকে সফল দেশগুলোর অন্যতম নিউ জিল্যান্ড। সেখানে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ১০৪ জন কোভিডে আক্রন্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৫২ জন। দেশটি বেশ কয়েক মাস করোনাভাইরাস শূন্য ছিল।