নিজস্ব প্রতিবেদক॥ ‘বাঘারপাড়ার উপ নির্বাচন হচ্ছে স্থানীয় নির্বাচন। এ নির্বাচনে আমাদের কোন প্রতীকের প্রয়োজন নেই। আমাদের দরকার বেপ্রতীক। আমরা ব্যক্তি দেখে ভোট দেব। এ নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হচ্ছে না। আমরা সবাই আনারসে ভোট দেব। এ নৌকা বিএনপি জামায়াতের নৌকা, এ নৌকা আমাদের নৌকা না।’
বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগের আহবায়ক সালমা খাতুনের এ বক্তব্য এখন বাঘারপাড়ার সর্বত্রই সমালোচনায় ঝড় বইছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ নির্বাচন উপলক্ষে দেওয়া এ বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ায় গত মঙ্গলবার থেকে বিষয়টি টক অব দ্যা বাঘারপাড়ায় রূপ নিয়েছে। সম্প্রতি সালমা খাতুন আনারস প্রতীকের এক উঠান বৈঠকে এমন বক্তব্য প্রদান করেন। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রউফের বাড়ির উঠানে অনুষ্ঠিত বৈঠকের এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়।
সালমা বেগমের এ বক্তব্যর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তার বহিস্কারের দাবি জানিয়েছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি আতিয়ার রহমান সরদার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক নজরুল ইসলাম, বাঘারপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার খন্দকার শহিদুল্লাহ, বন্দবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ ডাকু, দোহাকুলা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু মোতালেব তরফদার, নারিকেলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও বাঘারপাড়া উপজেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক আবু তাহের আবুল সরদার, সাবেক যুবলীগ নেতা ও বাসুয়াড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ সরদার, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, বর্তমান যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর কাউন্সিলর জুলফিক্কার আলী জুলাই, বাঘারপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বায়েজিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বিএম শাহাজালাল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আফজাল হোসেন সঞ্জীব, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক এনায়েত হোসেন লিটন প্রমুখ।