নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ যশোরে ট্রলি চালকের কাছ থেকে টাকা আদায়ের প্রতিবাদ করায় একটি চক্রের হামলায় একই পরিবারের ৩ জন আহত হয়েছেন। গত সোমবার সদর উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনার সাথে জড়িত দু’জনকে আটক করেছে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে ১১ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। আসামিরা হলো, ডাকাতিয়া দক্ষিণপাড়ার মৃত আব্দুল করিম মোল্যার ছেলে নজরুল ইসলাম ও মফিজুর রহমান, নজরুল ইসলামের ছেলে খলিলুর রহমান, বিল্লাল হোসেন ও ছোটমনি, মফিজুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান, রুবেল হোসেন ও শান্ত, বিল্লাল হোসেনের ছেলে বাপ্পী হোসেন ও স্ত্রী রিজিয়া বেগম ও হাবিবুর রহমানের স্ত্রী রিমা বেগম।
ডাকাতিয়া দক্ষিণপাড়ার মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা মামলায় উল্লেখ করেছেন, সদর উপজেলার নুরপুর গ্রামের আসলাম হোসেন সহযোগীদের সাথে নিয়ে ডাকাতিয়া দক্ষিণপাড়ায় ট্রলিতে বিভিন্ন লোকজনের মাটি ও ধান বহনের কাজ করে থাকেন। কিন্তু মাস খানেক আগে আসামি নজরুল ও খলিল সহযোগীদের নিয়ে প্রতি ট্রলি থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা আদায় করেছেন। ফলে আসলাম হোসেন ও তার সহযোগীরা হঠাৎ করে ডাকাতিয়া দক্ষিণপাড়ায় মাটি ও ধান বহনের কাজ বন্ধ করে দেন। সে কারণে বাদীর ভাই আসাদুজ্জামান আনুসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করেন। ফলে আসাদুজ্জামান আনু আসামি খলিলকে ট্রলিচালক আসলাম হোসেন ও তার সহযোগিদের কাছ থেকে টাকা নিতে নিষেধ করেন। এরই জের ধরে গত সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে আসামি খলিল এলাকার লিটনের দোকানের সামনে তাকে পেয়ে মারপিট এবং তার হাত কামড়ে দেন। এই ঘটনার পর রাত সাড়ে ৭টার দিকে আসাদুজ্জামান আনুর মুদি দোকানে হামলা চালিয়ে ফের তাকে মারপিট করেন আসামি নজরুল, মফিজুর, খলিল ও শান্ত। তারা তার দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লুটও করে নেন।
অপরদিকে, আসামি বিল্লাল, ছোটমনি, হাবিবুর, রুবেল, বাপ্পী, রিজিয়া ও রিমা বাদীদের ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভেঙ্গে তছনছ করেন। এ সময় বাদীর মা সুফিয়া বেগম (৫৫) নামাজ আদায় করছিলেন। ওই অবস্থায় তাকে মারপিট করেন আসামিরা। বাধা দেওয়ায় আসামিরা বাদীর বোন নাছিমা আক্তারকেও (৩৫) মারপিট করেন। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ওই ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হলে সকালে আসামি বিল্লাল ও শান্তকে তারা আটক করা হয়েছে।