সমাজের কথা ডেস্ক॥ রাজধানীর জলাবদ্ধতা অবসানে পরিকল্পনা নেওয়ার কথা জানিয়ে আগামী বছর এবারের মতো দুর্ভোগে পড়তে হবে না বলে নগরবাসীকে আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শ্রাবণের মাঝামাঝিতে রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে জলজটে জনদুর্ভোগের মধ্যে বুধবার সচিবালয়ে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে এই আশ্বাস দেন তিনি।
মোশাররফ বলেন, “আমরা সার্ভে করে দেখেছি, ঢাকা শহরের প্রায় ৪৬ খালের মধ্যে ১৮টি খালের উন্নয়ন করতে হবে। আমি ওয়াসাকে বলেছি, বেশি বৃষ্টি হলেও যাতে তিন ঘণ্টার মধ্যে পানি চলে যায়।”
জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠকের পর মন্ত্রী যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখনও সচিবালয় প্রাঙ্গণে পানি জমে ছিল। বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে হাঁটু সমান পানিও জমে।
টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা থেকে বাদ যায়নি প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয় ও আশপাশের এলাকা। টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা থেকে বাদ যায়নি প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয় ও আশপাশের এলাকা।
ঢাকার পয়ঃনিষ্কাশন ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার দায়িত্ব ওয়াসা তথা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকায় জলাবদ্ধতার দায় নিতে নারাজ দুই মেয়রই।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বুধবার জলাবদ্ধ এলাকা দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “জলাবদ্ধতা নিরসন মূলত ওয়াসার কাজ। কিন্তু আমরাও ফিল্ডে এসে কাজ করছি। আমাদের লোকজন যেভাবে কাজ করে, তাদেরকে (ওয়াসা) তেমন পাওয়া যায় না।”
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মোশাররফ বলেন, “এখন তো সাতদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। এটা কিন্তু একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। তবে এই পরিস্থিতিটা আমাদের শিক্ষা দিচ্ছে।
“আমরা বুঝতে পারছি কোন জায়গাটায় আমরা আটকা পড়ছি। সে জায়গাটায় আমরা ত্বরিত ব্যবস্থা নেব। আমি প্রমিজ করছি যে সামনের বছর আপনারা এ ধরনের পরিস্থিতি দেখতে পাবেন না।”
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বুধবার রাজধানীতে সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। তাতেই দেখা দেয় জলাবদ্ধতা।
পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ‘কিছু দিনের মধ্যে’ কাজ শুরুর কথাও বলেন তিনি।