সমাজের কথা ডেস্ক॥ দিনরাত কম্পিউটারের মধ্যেই যখন ডুবে আছেন তখন একে বিয়ে করে ফেল্লেই হয়। আর এই বুদ্ধিটাই হয়তো মনে ধরেছিল মার্কিন যুবক ক্রিস সেভিয়ারের। তাই নিজের ল্যাপটপ কম্পিউটারটাকেই তিনি বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেছেন। তবে তার এই বিচিত্র বিয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আদালত। কারণ মানুষের সঙ্গে যন্ত্রের বিয়ের কোনো আইন যে নেই। সেজন্য ক্রিস এখন প্রিয়তমা ল্যাপটপটিকে জীবনসঙ্গী করতে আদালতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবেন বলে ঠিক করেছেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ অঙ্গরাজ্যের এক আদালতে নিজের ল্যাপটপ ম্যাক বুকটিকে বিয়ে করার অধিকার চেয়ে ক্রিস ৫০ পৃষ্ঠার একটি আবেদন করেছেন।
নিজের এই আবেদন পত্রে আদালতের কাছে ক্রিস যুক্তি দেখিয়েছেন, তিনি সবসময় এই ল্যাপটপটিকে নিয়ে চলাফেরা করেন, এমনকি ঘুমাতেও যান। এই ল্যাপটপের সঙ্গে তার যৌন জীবনও জড়িত। কারণ এতে তিনি বেশ কিছু পছন্দের পর্নো ফাইল ডাউনলোড করে রেখেছেন। যা তাকে যৌনতৃপ্তি দেয়। তাই তিনি নিজের পছন্দের ল্যাপটপটিকে বিয়ে করতেই পারেন।
আদালতের কাছে ক্রিস আরো যুক্তি দেখান যে, যেখানে রাজ্যে সমলিঙ্গের বিয়েতে কোনো বাধা নেই, সেহেতু কেউ যন্ত্রকে বিয়ে করতে চাইলেও বাধা দেয়া ঠিক নয়। তাই এই বিষয়টি বিবেচনা করে তাকে যেন বিয়ের লাইসেন্স দেয়া হয়।
ক্রিস জানান, কিছু দিন আগে তিনি তার ল্যাপটপটিকে বিয়ে করতে চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু তারা তাকে বিয়ের লাইসেন্স দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তারপরেই তিনি আদালতে এই আবেদন করেছেন।
যদিও আদালত নাকি ক্রিসের আবেদনকে পাত্তা দিচ্ছে না। তারা বলছে ক্রিস আসলে পর্নোগ্রাফি আসক্ত একজন বিকারগ্রস্ত মানুষ।
অল্প-কথা ল্যাপটপের সঙ্গে বিয়ে